বন্দর প্রতিনিধি: বহু আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। এসময় সর্বস্তরের কয়েক হাজার উপজেলাবাসী উপজেলা চত্বরে মাকসুদ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন। পরে তিনি মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থিত হন। সোমবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শপথ গ্রহন করেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসন কর্তক আয়োজিত শৃঙ্খলা মাসিক মিটিং অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন। এ অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের সঙ্গে উপস্থিত সকলের পরিচয় করিয়ে দেন
উপজেলা প্রশাসন। এর আগে তিনি মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন।
যে কারণে মাকসুদ হোসেন আলোচিত, তৃতীয় মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ঘোষনা করে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে নামেন। প্রচার প্রচারণায় সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও এমএ রশীদের চেয়ে মাকসুদ হোসেন বন্দর উপজেলাবাসীর কাছে ব্যপক সাড়া পেয়ে আলোচনায় আসেন। এর পর থেকে মাকসুদ হোসেনের বিরোধিতা শুরু করেন স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান। মাকসুদ হোসেনও এমপি সেলিম ওসমানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ গ্রহনে আরো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এমপি সেলিম ওসমানের চরম বিরোধিতায় মধ্য দিয়ে অবশেষ ১৫০৩৮ ভোট পেয়ে মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে আলোচিত মাকসুদ হোসেন। মাকসুদ হোসেন শপথ গ্রহনের আগের দিন রোববার সকালে বন্দর উপজেলা মডেল মসজিদের ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠানে এমপি সেলিম ওসমান নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে রাজাকারের পূত্র বলে নানা ধরনের বক্তব্য রাখেন এবং মাকসুূদ হোসেনকে নির্বাচিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমপি সেলিম ওসমান। নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পরও এমপি সেলিম ওসমান বিরোধিতার করণে শপথ গ্রহনের পরদিন মাকসুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহনে বরণ করতে কয়েক হাজার উপজেলাবাসী ঢাক ডোল বাজিয়ে উপজেলা চত্বরে সমাবেত হয়েছে। জানাগেছে, মাকসুূদ হোসেনের পিতা এমএ রফিক ধামগড় ইউপির চেয়ারম্যান ও বড় ভাই আনোয়ার হোসেন শাহ মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। বড় ভাই আনোয়ার হোসেন শাহ মৃত্যু বরণের পর মাকসুদ হোসেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ছিলেন।