1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

ত্যাগী নয় ভোগীদের গুরুত্ব না’গঞ্জ আ’লীগে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২২ মে, ২০২৪
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
রাজনীতিতে দল গুছিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জনে অনীহা দেখাচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা। প্রান্তিক পর্যায়ে দলের জন্য যতই ত্যাগ বা জনপ্রিয়তা থাকুক না কেন, দলীয় পদ-পদবী পাওয়ার জন্য এখন এসব আর কাজে আসছে না আগের মতো। অনৈতিক লেনদেন, পরিচিতি বা ‘মাই ম্যান’ হলে অনেক অনভিজ্ঞও দলের শাখা সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদকের পদ পেয়ে যাচ্ছেন। আগের মতো কাউন্সিলে তৃণমূলের সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচন না হওয়ায় কমছে ত্যাগী কর্মীদের কদর। এসব কারণেই তৃণমূলে এখন দল গোছানোর বদলে নিজের আখের গুছিয়ে পদ কেনার ধান্ধায় মাঠে বিচরণ করছেন পদপ্রত্যাশীরা। এসব বিষয় নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূল কর্মীদের।

জেলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের জেলা ও একাধিক উপজেলায় সম্মেলন করার ক্ষেত্রে কাউন্সিল না করে কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটির কার্যক্রম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই অসন্তোষ আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর আগে কেন্দ্রকে খুশি রাখার জন্য কেন্দ্রঘোষিত কমিটি সবসময় অভিনয় করলেও জেলা-উপজেলা বা সংশ্লিষ্ট এলাকায় দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুতে কোনো পদক্ষেপই হাতে নেয় না। ফলে পদ পেয়ে অনেকে আখের গোছালেও নতুন নেতৃত্ব উঠে আসে না। এ পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে দল গোছাতে যোগ্য নেতৃত্ব পাচ্ছে না সংগঠনগুলো- এমনটাই মনে করছেন সাবেক ছাত্র, যুব ও আওয়ামী লীগ নেতারা।

সূত্রমতে, ২০২২ সালের ২৩ অক্টোম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আব্দুল হাই সভাপতি ও আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এদিকে সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হওয়ার দেড় বছর পার হয়ে গেলেও এখনো পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। এদিকে একই বছর মহানগর আওয়ামীলীগের মেয়াদোত্তীর্ন কমিটিরও সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিম্তু রহস্যজনক কারনে আবহাওয়ার প্রতিকূলতার দোহাই দিয়ে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। ফলে মেয়াদোত্তীর্ন কমিটি দিয়েই চলছে দলটির সাংগঠনিক কার্য্যক্রম। একদিকে জেলায় পূনাঙ্গ কমিটি অন্যদিকে মহানগর আওয়ামীলীগের মেয়াদোত্তীর্ন কমিটির সম্মেলন না হওয়ায় রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ত্যাগীরা। আর উল্টোদিকে দলের দুঃসময়ে আত্মগোপনে থাকা সেই সুবিধাবাদীরাই কমিটিতে পদ পদবী পেতে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন। একই অবস্থা জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর মধ্যে।

ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতির ক্ষেত্রেও। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জেলা যুবলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক চর্চায় সম্মেলন ও কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচন জরুরি। এতে নেতত্ব পাওয়ার আশায় পদপ্রত্যাশীরা কর্মী সৃষ্টি ও যোগাযোগ বাড়াতো। কিন্তু টানা ১৫ বছর দল ক্ষমতায় থাকায় এই ধারার ব্যত্যয় ঘটছে তৃণমূলে। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র একাধিক নেতার সাথে আলাপ চারিতায় তারা জানান, বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে জেলা থেকে তৃণমূল কোথাও আগের মতো সুসংগঠিত নেই আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।

এমন অবস্থাও শুনি সভাপতি-সম্পাদক ছাড়া কমিটির অন্যরা একে অপরকে চেনেও না-নেই চেইন অব কমান্ড। কিন্তু যার কাছ থেকে কমিটি মিলবে, সেই নেতাকে তোয়াজ করতেও ভোলেন না। জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবেদককে জানান, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ জেলার দায়িত্বশীলদের স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতিহিংসা, উচ্চাভিলাষ ও অদক্ষতার কারণে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ত্যাগী হাজারো নেতাকর্মী থাকা সত্ত্বেও সংগঠনগুলো আজ একপ্রকার অস্তিত্ব সংকটে।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃহাই বলেন, নানা কারণে অগোছালো হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম গোছাতে উদ্যোগ চলছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোকে ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, আদর্শিক ও স্বচ্ছ নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে শিগগিরই নতুন কমিটি ঘোষণা হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট