ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ ফতুল্লার কাশীপুরে পরকিয়া করে স্বামীর দীর্ঘ দিনের সংসার ও তিন সন্তান ফেলে গৃহ বধূ তুহিনা পরকিয়া প্রেমিক ব্যাংক কলোনীর হাজী আমান উল্লার পুত্র সোহাগ (৩৮) এর সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছে বলে জানা গেছে ৷ এলাকা বাসী ও গৃহবধু তুহিনার স্বামী আনোয়ার ( ৫০ ) জানিয়েছে অভিযুক্ত সোহাগ বেশ কয়েক বছর পূর্বে সম্রাট সিনেমা হলের সামনে তার বাবা আমান উল্লার সাথে চটপটি বিক্রি করতো ৷ বর্তমানে দু ভাই বিদেশ থাকায় বাংলাবাজার ব্যাংক কলোনী বাড়ী করে সেখানে থাকে ৷ সোহাগের নিজ স্ত্রী ও সন্তান কাশীপুর ব্যাংক কলোনীর বাসায় থাকে ৷ অপরদিকে মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে রাজ মিস্ত্রী আনোয়ার বাংলা বাজার ভাড়া থাকতো ৷ কিন্তু তিনি স্ত্রীর পরকিয়া ঘটনা আঁচ করতে পেরে বাংলাবাজার থেকে বাসা পরিবর্তন করে স্ত্রী সন্তান সহ চর কাশীপুরে নির্জন এলাকায় বাসা ভাড়া করেন ৷ কিন্ত সেখানে গিয়ে কোর্ট মুহরী সোহাগ ঐ গৃহবধুর ছেলের আইন সহায়তা দেওয়ার নাম করে আবার ও চরকাশীপুরের বাড়ীতে তুহিনার স্বামীর অনুপস্থিতে গন গন যাতায়াত করে এবং এক পর্যায়ে ঐ বাড়ীত তারা শারিরীক অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় ( যা বাদী তার থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ) তাদের এই অবৈধ কর্মকান্ডে প্রতিবাদ ও ঝগড়া করলে মুহরী সোহাগ অসহায় স্বামী আনোয়ার কে নানা ভাবে হুমকী ধমকী দেয় ৷ এই বিষয় টি নিয়ে স্বামীর সাথে উক্ত গৃহ বধূর সম্পর্কের অবনতি ঘটলে আমান উল্লার ছেলে মুহরী সোহাগ ঐ গৃহবধূ কে নিয়ে পালিয়ে গোপনে বিয়ে করে ৷ স্বামী আনোয়ার তার লিখিত থানার অভিযোগে উল্লেক্ষ করেন তার স্ত্রী তুহিনা ওরফে তুলি সোহাগের সাথে পালিয়ে যাবার সময়, তার স্ত্রী কিস্তিতে উঠানো নগদ ৮০ হাজার টাকা ও চেইন কানের দুল সহ বেশ কিছু স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে ৷ পরে বেশ কদিন খোঁজার পর রূপগঞ্জ বরপা এলাকায় স্ত্রীর সন্ধান পেলে সেখানে সোহাগ ও তার স্ত্রীর লোকজনের মারধোরের শিকার হন আনোয়ার ৷ উক্ত পরকিয়ার বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সোহাগের পরিবার ও তার পিতা মাতা কে গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার জানালেও তারা কোন প্রকার ব্যাবস্থা নেয়নী ৷ অপর দিকে আনোয়ার দাবী করেন আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দেয়নী কি ভাবে সে গোপন স্থানে থেকে সোহাগের সংসার করে ! আর সোহাগ আমাকে বিভিন্ন লোক দিয়ে ফোনে হুমকী দেয় ৷ আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে বলছে ৷ আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই , সমাজের কাছে বিচার চাই ৷ New.s জনতার কাগজ পত্রিকা ৷