মোঃ জাহিদ হোসেনঃ ১৮৬৯ সালে স্থাপিত হওয়ার পর কবে ভবনের সীমানা প্রাচির নির্মাণ করা হয়েছিল, কবে রং হয়েছিল সেটা যে কারও জন্য মনে করে বলা খুব কঠিন। তিনটি প্রবেশ পথের মধ্যে একটি প্রবেশ পথ বন্ধ। অপর দুটি প্রবেশ পথের মধ্যে একটিতে গেট থাকলেও আরেকটি প্রায় খোল অবস্থায় পড়ে ছিল। গাছ পালা গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করায় বাইরে থেকে বোঝার উপায় ছিলনা এটি কোন ভবন। ভবনের দেয়াল গুলোতে মরিচা ধরেছিল। গ্যারেজটি ময়লা আবর্জনায় ভরে গিয়েছিল। যত্রতত্র পার্ক করা হতো যানবাহন গুলো। তবে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ভবনটির কিছু সংস্কার ও রং করায় এবং গাছপারা গুলো পরিস্কার করায় ঝক ঝকে তকতকে অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখছেন, যে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে চেহারা পাল্টে গেছে ভবনটির। পাল্টেছে শহরের চিত্র । আগের মত আর কথায় আর ময়লা আবর্জানার স্তুপ নেই। এখন দিনে এবং রাতে সমান তালে পরিস্কার হচ্ছে শহর। কথাও কোন ব্যানার ফেষ্টুন নেই। এক পরিচ্ছন্ন শহরে পরিনত হয়েছে দিনাজপুর শহর। কর্মকর্তা কর্মচারিরাও কাজ করছেন আনন্দের সঙ্গে। অফিস ভবনের সিঁড়িতে রাগানো হয়েছে র্যালিং। বয়স্ক মানুষেরা হাত দিয়ে ধরে সহজেই সিঁড়ি বেয়ে অফিসে প্রবেশ করতে পারবেন। স্থাপন করা হয়েছে হেল্পডেক্স, নিয়ম মেনে দেয়া হচেছ জন্মনিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা।
হে পাঠক একক্ষণ কথা বলছিলাম দিনাজপুর পৌরসভা ও পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল এর কথা। যিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়ীত্ব নিয়েই দিনাজপুর পৌরভবনকেসহ পৌর শহরকে পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত করেছেন। ঝক ঝকে তকতকে পৌরভবনটি রাতের বেলাতেও জ্বল জ্বল করছে। পৌরসভার রাস্তা গুলোও সংস্কার শুরু হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর পৌরসভার দক্ষিণ প্রবেশ পথটিতে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে গেট। উঠানো হয়েছে সুদর্শন সাইনবোর্ড ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল নতুন করে তৈরি গেট ও সুদর্শন সাইনবোর্ড উঠানোর উদ্ধোন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল্লাহ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহববুর রহমান,প্রধান সহকবী মোঃমজিবর রহমান বাচ্চু ,পরিচ্ছন্ন সুপার ভাইজার নেয়ামত উল্লাহ সহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ ।