বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে প্রবাসী ভগ্নিপতির বাড়ির লোকদের হামলায় গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়েছে রোমান (৩২) নামের এক যুবক। হামলাকারীরা তাকে মারধরসহ সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১ লা ডিসেম্বর থানায় মামলা করেও বিপাকে পরেছে আহতের পরিবার। চরমভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করছে রুবিনা আক্তারকে। মামলা না তুললে তাদের প্রাননাশের হুমকিসহ রুবিনা আক্তার সংসার করে কিভাবে তা দেখে নেয়ার হুমকী দিচ্ছে ভাসুর আমির হোসেন, তার ছেলে সাব্বির হোসেনরা। এ ঘটনায় চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে আহত রোমানসহ তার পরিবারের লোকজন। বোনের জন্য নিজে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত, অপরদিকে বোনের সংসার নিয়ে হুমকী দিচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বন্দর উপজেলার পুরান বন্দর নুরপুর এলাকায় । এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে হামলাকারীরা।
সূত্র মতে, পুরান বন্দর নুরপুর এলাকার মৃত মাহবুব হোসেনের মেয়ের সাথে প্রতিবেশী মতিন মিয়ার ছেলের বিয়ে হয়। পুরান বন্দর নুরপুর এলাকার মাহবুব মিয়ার মেয়ে রুবিনা আক্তারের বিয়ের পর থেকে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে পরিবারের লোকজন। রুবিনা আক্তারের স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ভাসুর, শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন নানাভাবে নির্যাতন ও হুমকী ধুমকী এমনকি যৌতুকের দাবী করে আসছে। গত ২৭ নভেম্বর রাতে এ ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন রুবিনা আক্তারকে মারধর করতে থাকে। তার আত্নচিৎকারে প্রতিবেশী রুবিনার আপন ভাই রোমান মিয়া দ্রুত ওই বাড়িতে যায়। বোনের আত্নচিৎকারে সহ্য করতে না পেরে রোমান (৩২)
ঘটনাস্থলে গেলেই ভাসুর আমির হোসেন, তার ছেলে সাব্বির হোসেন, হিমেল, তার ছেলে মারুফ ও মৃত আহমেদ আলীর ছেলে মতিনসহ অঞ্জাতনামা ৩/৪ জন মিলে রোমানকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করে সাথে থাকা নগদ ৮৫ হাজার টাকা, ২ টি মোবাইল সেট নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ভাই-বোনের আত্নচিৎকারে পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে প্রানে রক্ষা পেলেও রোমানের অবস্থা আশংকাজনক। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করে। একদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি ওছ বোনের সংসার নিয়েও উদ্বিগ্ন আহতের পরিবার। এদিকে পারিবারিক বিষয়টি অন্যদিকে প্রভাহিত করার জন্য একটি চক্র নিখুঁতভাবে খেলতেছে। মামলার আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য বন্দর থানা পুলিশের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।