বন্দর প্রতিনিধিঃ আগ্নেঅস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফঁাসাতে গিয়ে বন্দরে অস্ত্রধারী ৪ যুবক তারা নিজেরাই উল্লেখিত অস্ত্র নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ফেঁসে গেছে। ওই সময় ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে আরো ২ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। ওই সময় ডিবি পুলিশ বাথরুমের ফলস ছাদ থেকে ১টি লোহারবাট যুক্ত পিস্তল ও ১টি সিলভার রং এর ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড গুলি জব্দ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের উত্তর চাঁনপুর এলাকার সরাফত আলী মিয়ার ছেলে রুবেল প্রধান (৩২) উত্তর চাঁনপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে নাইমুর রহমান (২৪) দক্ষিন চাঁনপুর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে ওমর ফারুখ (৩৮) একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে ফারুখ (২৭)। পলাতক আসামী সুজন মদনপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চাঁনপুর এলাকার মতিন ওরফে কানা মতিন মিয়ার ছেলে ও ইমরান ভূইয়া (২৮) উত্তর চাঁনপুর এলাকার হোসেন ভূইয়া ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে অস্ত্র মামলায় রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে মামলার তদন্তকারি কর্মকতার্। এর আগে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চাঁনপুরস্থ জনৈক জামালউদ্দিন মিয়ার বসতবাড়ী নিজতলার বাথরুমের ফলস ছাদের উপর থেকে উল্লেখিত আগ্নেঅস্ত্র জব্দ করা হয়। আগ্নেঅস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস.এম. শামীম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৪ আসামী ও পলাতক ২ আসামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় অস্ত্রআইনে মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ৩২(১০)২৩। মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শামীমসহ সঙ্গীয় ফোর্স বন্দরে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় অবস্থানকালে রুবেল প্রধান, নাইমুর, ওমর ফারুক ও ফারুক ডিবি পুলিশকে জানায় বন্দরে মদনপুর চাঁনপুরস্থ জনৈক জামাল উদ্দিনের বাড়ীতে কতিপয় অস্ত্রধারীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। বিষয়টি উদ্ধর্তন কতর্ৃপক্ষকে অবগত করে সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উল্লেখিতদের দেখানো মতে নিজতলার বাথরুমের ফলস ছাদ থেকে ১টি সিলভার ও কালো রং রংএর কাঠ ও লোহার বাটযুক্ত ৮ ইঞ্চি লম্বা গায়ে অস্পষ্ট লেখা ফায়ারিং ও টিগার যুক্ত একটি পিস্তল ও ১টি সিলভার রং ম্যাগাজিন যাহার দৈঘ্য ৪ ইঞ্চি এবং ইংরেজীতে এন লেখা ২টি গুলি জব্দ করে। পরে এ ব্যাপারে জামাল উদ্দিনের ছেলে মাঈনউদ্দিনকে জব্দকৃত পিস্তল ও গুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় সে এ বিষয়ে কিছু জানে না। তার কথা বিশ্বাস যোগ্যমনে হলে এবং উল্লেখিতদের কথাবাতার্ ও আচরন সন্দেহজনক হওয়ায় উল্লেখিত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করার সময় আরো ২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃতরা তারা স্বিকার করে যে পলাতক ৫নং ও ৬নং আসামী নির্দেশে উল্লেখিত আগ্নেঅস্ত্রটি জামালউদ্দিন মিয়ার বাড়ি বাথরুমের ফলস ছাদের উপর রেখে মাঈনউদ্দিনকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাসানোর জন্য উক্ত অস্ত্র ও গুলি ১ দিন পূর্বে এনে রেখেছে।