1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৮:০০ অপরাহ্ন

কাশীপুরে সার্ভেয়ার হারুনের বিরুদ্ধে জমি দখল ও মাপে জালিয়াতির অভিযোগ-যুগের নারায়ণগঞ্জ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ ফতুল্লার কাশীপুর সহ নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকায় হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ভুমিদস্যুদের যোগসাজসে জমি মাপার সময় টাকার বিনিময়ে কম বেসি করা সহ অন্যের জমি কৌসলে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাশীপুরের মধ্য নরসিংপুর এলাকার সাইদুরের জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। হারুনুর রশিদ ওরফে সার্ভেয়ার হারুন কাশীপুর ২ নং ওয়াডের হাজীপাড়া এলাকার মৃত করম আলী ছেলে। জানাগেছে, সার্ভেয়ার হারুনের জালিয়াতির স্বীকার মধ্যনরসিংপুর এলাকার আফছার উদ্দিনের ছেলে মো: সাইদুর রহমানের কাছে কাশীপুর স্থিত মৌজার দাগনং ৯৪৭/৪৮, সি.এস ১৭০, এস.এ ৩৮, আর.এস ২৯৯নং এর তিন শতাংশ নালজমি ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করে। সাইদুর রহমান নগদ ৫ লাখ টাকায় দিয়ে সার্ভেয়ার হারুনের কাছ থেকে জমিটি রেজিষ্ট্রি বায়না করে। বাকি টাকা জমি বুঝে পেয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু জমিটি সাইদুরকে বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো জমিটি জবর দখল করে সেখানে সার্ভেয়ার হারুন দেয়াল নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লাহ্ বাদলকে অবগত করলে তিনি দুই পক্ষকে আগামী শনিবার (২৮ অক্টোবর) বসে জমিটির ফয়সালা করে দিবেন বলে জানান। কিন্তু সার্ভেয়ার হারুন চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে পুরদমে তার দেয়াল নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাইদুর রহমান জানান, আমি এ জমিটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের ৭ তারিখে খরিদ করেছি। তিন দলিতে মোট ৪২ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। এ জমিটি ক্রয় করার পর একটা ছোট ওয়ারিশ ছিলো, সেটা ৩৯ পয়েন্টের মতো। তার নাম মনির। তার অর্জিনাল বাড়ি মুক্তারকান্দি। তারপর সে বললো, তুমিতো জমি কিনছো, এখানেতো আমাদের ওয়ারিশ আছে। আমি বলছি, ঠিক আছে যদি ওয়ারিশ থাকে কোন ঝামেলা থাকে, তাহলে আমরা শেষ করে দিবো। যেহেতু আমরা জমিটা কিনছি আমাদের নিজের জন্য, বসবাসের জন্য। পরে এ জমিটিই ২০২১ কি ২২ সালে তারা ক্রয় করছে। সেক্ষেত্রে তারা পাবে ৩৯ পয়েন্ট কিন্তু তারা আমার কাছে দাবি করলো ৩ শতাংশ। আমি তাদের কাছে পেপার চাইলে, তারা কিছুই দেখাতে পারেনি। পরে সামাজিক ভাবে বসলে সবাই বললো, তিনি যেহেতু ৩ শতাংশ জমি দাবি করতাছে, তিনি পাইলেও পাবে, ধরো না পাইলেও পাবে। এ ঝামেলাটা তুমি শেষ কইরা দাও। পরে ভাবলাম কতটাকা কতদিক দিয়া গেছেগা, ঠিক আছে ঝামেলাটা শেষ করে দেই। তারপর ৩ শতাংশের জমি ১২ লাখ টাকায় তিনি আমার কাছে বিক্রি করে। আমি গত বছরের গত ২১ সেপ্টেম্বর ৫ লাখ টাকা বায়না দিয়ে তার কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করি। আমি ওই জমিটির রেজিষ্ট্রি বায়নাসূত্রে মালিক। আমার দলিল নং ১২৭৯০। এরপর আমি পঞ্চাশ দিন গেছি, ভাই আমার জমিটা লেইখা দেন। কিন্তু তিনি পাত্তায়ই দেয়নাই। তিনিতো আমাকে জমিটি বুঝিয়ে দেয়ই নাই, উল্টো এ জমিটিই আরেকজনের কাছে ১৯ লাখ টাকায় বিক্রি করছে বলে জানতে পেরেছি। আজ দেখলাম আমার সেই জমিটিতে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করছে। আমি বাধা দিলে সার্ভেয়ার হারুন ও মনির আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরে আমি এ বিষয়টি আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবকে বলি। তিনি আগামী শনিবারের মধ্যে জমির ঝামেলাটি শেষ করে দিবেন বলে জানান। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যানের নির্দেশকেও তোয়াক্কা করছেন না। চেয়ারম্যান সাহেব নির্দেশ দেয়া সত্বেও হারুন সেখানে জোর পূর্বক দেয়াল নির্মাণ করছে। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, সার্ভেয়ার হারুন শুধু আমার জমিই নয়, তিনি কাশীপুরের বিভিন্ন জনের জমি জবর দখল করেছে। এক জমি তিনি একাধীক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। এভাবে তিনি সাধারণ মানুষদের হয়রানি ও সর্বশান্ত করছে। তিনি ল্যান্ডের মধ্যে যত কুকৃর্ত্তি আছে, সবই করেন। জমির জায়গা মাপযোগের নামে তিনি সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি মুখোশধারী, তার ৪ চারটা বাড়ি আছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের এ্যাকশন নেয়া দরকার, আমি তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করবো। এদিকে এ বিষয়ে হারুনুর রশিদ ওরফে সার্ভেয়ার হারুন বলেন, সাইদুরের সাথে আমার খুব ভালো সর্ম্পক। তিনি আমার ব্যবসায়ী পার্টনার ছিলো। আমি কারো জমি জবর দখল করিনাই। ওই জমিটি তিনি আমার কাছ থেকে কিনতে চেয়েছিলেন সত্যি, কিন্তু ৫ লাখ টাকার দেয়ার পর সে আমার সাথে নানা তালবাহানা শুরু করে। আমিতো আর তার জন্য বসে থাকতে পারিনা। তাই তার টাকা তাকে ফেরত দিয়ে আমি আমার জমিতেই দেয়াল নির্মাণ করছি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট