বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরের শিল্পকারখানা গুলোতে ৫ দিন ধরে বিরাজ করছে তীব্র গ্যাস সংকট। এতে প্রায় একডজন রপ্তানীমুখী শিল্প কারখানার উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কারখানার মালিকরা। তথ্যানুসন্ধানের জানা গেছে, জামালউদ্দিন টেক্সটাইল মিল, জাহিন নিটওয়্যার, টোটাল ফ্যাশনসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মদনপুর থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত শতভাগ রপ্তানীমুখী প্রায় একডজনেরও বেশী শিল্প কারখানা রয়েছে । গ্যাস সংকটের কারণে এ সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির কবলে পড়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। পূর্বাঞ্চল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি এম জামালউদ্দিন জানান, গ্যাস হচ্ছে কারখানার প্রধান জ্বালানী শক্তি। গ্যাস না থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। কারখানা বন্ধ হলে বেকারত্ব বেড়ে যাবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন ,সময় মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় ইতিমধ্যে একটি দেশের ক্রেতা ছুটে গেছে। বাকি ক্রয়াদেশও বাতিল হওয়ার উপক্রম। টোটাল ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থপনা পরিচালক মোঃ হাসিবউদ্দিন মিয়া জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তার কারখানায় কোনো গ্যাস নাই। গ্যাসের অভাবে ডায়িং শাখা পুরোপুরি বন্ধ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেশনিংয়ের মাধ্যমে সব কারখানায় সমভাবে গ্যাস বন্টনের নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু মদনপুরে সমানভাবে গ্যাস বন্টন করা হচ্ছেনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের কারখানাগুলো কিছু গ্যাস পেলেও উত্তর পাশের কারখানায় একেবারেই গ্যাস নেই। গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর বহু আবেদন নিবদেন করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াইহাজার শ্রমিক কাজ করছেন। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাসের জিএম খন্দকার জাহিদুল হক জানান, গ্যাস সরবরাহ লাইনে প্রেসার অনেক কম। এছাড়া ঘোড়াশাল সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের কারণে এ সমস্ত কারখানাগুলো গ্যাস পাচ্ছেনা।