বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদ ও তার ভাড়াটিয়া সাঙ্গপাঙ্গরা বেপরোয়া হয়ে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন্দরে ২৪নং ওয়ার্ডের বক্তারকান্দী ও আমিরাবাদ এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার ও আকিজ গ্রুপের নিয়ন্ত্রন নিয়ে সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী গত মঙ্গলবার দুপুরে অহেতুক ব্যাপক তান্ডব নীলা চালায়। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আনোয়ার (৪৮)কে আটক করেছে। আটককৃত আনোয়ার উল্লেখিত এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। সংঘর্ষের ঘটনার রাতে সন্ত্রাসী আমজাদসহ তার দলবল উল্লেখিত এলাকায় আতংক সৃষ্টি করতে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেঅস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ আটককৃতকে বন্দর থানার একটি পেন্ডিং মামলায় বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বন্দরে দেউলী এলাকার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ২৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার শান্তি প্রিয় এলাকাবাসী। উল্লেখিত এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজি, ধর্ষন, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা বল্টু আমজাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তা করতে পারে না। বল্টু আমজাদ ২৪ নং ওয়ার্ডের এক আতংকের নাম। তার অনৈতিক কর্মকান্ডে স্থানীয় এলাকাবাসী চরম ভাবে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বল্টু আমজাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়া জন্য জেলা পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ২৪ নং ওয়ার্ডের সচেতন মহল। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকায় নিমার্নাধীন আকিজ গ্রুপের নিয়ন্ত্রন নিয়ে বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেউলী এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদ ও নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার শাহনেওয়াজ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় আকিজ গ্রুপ নিয়ন্ত্রন নিতে উল্লেখিত দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ওই সময় দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে রুবেল ও দ্বীন ইসলাম নামে ২ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেয়ে দোষীদের বিরুদ্ধেআইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।