নিজস্ব সংবাদদাতাঃ র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
২৩ জুন ২০০৯ ইং তারিখ প্রতিবেশীর সাথে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হকের মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হকের ভাই হাজী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে রামগতি থানায় ০১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরিদর্শক, জনাব, বশির আহাম্মদ, সিআইডি, লক্ষ্মীপুর মামলাটি তদন্ত শেষে গত ২১ মে ২০১১ সালে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে মামলার প্রধান আসামী আলাউদ্দিনসহ আবদুল্লাহ, মাহবুব, স্বপন, জুয়েল ও মাকসুদ হাওলাদারকে অভিযুক্ত করেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আজিজুল হক দীর্ঘ শুনানি শেষে ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার ৫ নম্বর আসামী মোঃ জুয়েল হাওলাদার (২৯) এর মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। দন্ড প্রদানের পর হতে আসামী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য অজ্ঞাত স্থানে গাঁ ঢাকা দেয়। র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ০৫নং আসামী জুয়েল হাওলাদার (২৯) এর অবস্থান আশুলিয়া ঢাকায় সনাক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১০ মে ২০২৩ ইং তারিখ ভোর রাত ০৪.০০ ঘটিকার সময় আশুলিয়া ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে লক্ষ¥ীপুর জেলার রামগতিতে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ জুয়েল হাওলাদার (২৯) কে গ্রেফতার করে।
ধ প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জুয়েল হাওলাদার (২৯) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানাধীন সেবাগ্রাম এলাকার মৃত ওমর ফারুক এর ছেলে। ঘটনার পর পরই আসামী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ঢাকা আশুলিয়া গিয়ে গাঁ ঢাকা দেয়। আসামী ঢাকা আশুলিয়া গিয়ে মজিবুর রহমান পরিচয়ে প্রথমে ০১টি মুদি দোকানে চাকরী নেয়। ০২ বছর মুদি দোকানে চাকরী করার পর একেএস গার্মেন্টস এর চাকরী নেয়। আসামী মোঃ জুয়েল হাওলাদার (২৯) ভুয়া পরিচয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ পলাতক ছিলো। র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ জুয়েল হাওলাদার (২৯) কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। ১০/০৫/২০২৩ ইং তারিখ তথ্য প্রযুুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মৃত্যুদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ জুয়েল হাওলাদার (২৯) কে গ্র্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।