নিজস্বসংবাদদাতাঃ বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল আদালত চত্বরে
বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল আদালত চত্বরেছবি: প্রথম আলো
‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আপনারা জানেন, মামলা জট আমাদের চিন্তিত করেছে। বিচারপ্রার্থীরা যদি দীর্ঘদিন আদালতে ঘুরে বিচার না পান, তাহলে একসময় আদালতের প্রতি তাঁরা কনফিডেন্স হারাতে পারেন।’
টাঙ্গাইল আদালত চত্বরে বুধবার বিকেলে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘ইদানীংকালে বিশেষ করে ২০২২ সাল থেকে আমাদের বিচারকেরা অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আপনারা শুনলে খুশি হবেন, গত বছর ২০২২ সালে টাঙ্গাইলে ডিসপোজালের রেট ছিল ১০২ ভাগ। অর্থাৎ যতগুলো কেস ফাইল হয়েছে ডিসপোস হয়েছে তার চেয়ে বেশি। মামলা থাকবে, কিন্তু যাতে জট না হয়। সে জন্য আমাদের বিচারকেরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিজ্ঞ আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী, বিচারপ্রার্থীসহ সবাইকে বলব আপনারা আদালতকে সহায়তা করেন। যাতে আমরা মামলা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের বিচার সেবা দিয়ে থাকি, আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ করছি, তারা আদালতে এসে কোথায় স্বস্তিতে বসবে এ জায়গার অব্যবস্থা ছিল। আমি শপথ নেওয়ার দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলি, স্বস্তিতে আদালত অঙ্গনে এসে যাতে কিছু সময়ের জন্য নিজের জায়গায় বসতে পারি, তার একটি ব্যবস্থা করে দেন। তিনি আমাদের ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবদুল আহাদ, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এবং আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান, টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রাফিজুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার প্রমুখ