যুগেরনারায়ণগঞ্জঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে শীল দিয়ে মাথা থেঁতলে তাসলিমা আক্তার (৩০) নামের এক পোশাক শ্রমিককে হত্যা করে লাশ কাঁথা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান তাঁর স্বামী। পাশেই পড়ে ছিল রক্তমাখা শীল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া চন্নাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাড়া বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।
নিহত তাসলিমা আক্তার নেত্রকোনা সদরের পাটলী গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামের চন্নাপাড়া এলাকার রাবিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
অভিযুক্ত স্বামী মো. আল আমিন (৩৫) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়ার ছেলে। তিনি সাবেক সেনা সদস্য বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিক মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে নিহতের স্বামী আল আমিন বাড়ির মালিকের ছেলে রিমনকে ফোন করে জানান যে, তাঁর স্ত্রী তাসলিমা নিচতলায় অসুস্থ। তখন বাড়ির মালিক রাবিয়া নিচে নেমে দেখেন তাসলিমার কক্ষে দরজা বাইরে থেকে লাগানো। এরপর তা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন তাসলিমার মাথা বালিশ ও কাঁথা দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এরপর কাঁথা-বালিশ সরিয়ে দেখা যায় তাসলিমার রক্তাক্ত লাশ।
বাড়ির মালিক রাবিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেকে ফোন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি দৌড়ে ছুটে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। পরে বালিশ আর কাঁথা সরিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ পড়ে আছে। পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী তাঁকে শীল দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। পাশেই মসলা বাটার রক্তাক্ত শীল পড়ে ছিল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় বালিশ ও কাঁথা দিয়ে ঢাকা ছিল। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী পলাতক রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে