যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিদ্রোহী রেজা-গালিব প্যানেলের সহসভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের ডেকে এই তথ্য জানান তিনি।
এবারের নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির ও অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হলেও ওই প্যানেলে জায়গা না পাওয়া বিএনপিন্থী আইনজীবীদের আরেকটি অংশ অ্যাডভোকেট গোলাম মোর্শেদ গালিব ও অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ নামে প্যানেল গঠন করেন।
রেজা-গালিব প্যানেলের সহসভাপতি প্রার্থী অ্যাড. আনিসুর রহমান মোল্লা বলেন, “আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী নির্বাচন ২০২৫-২৬ সালের সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলাম, যেহেতু আমি আমার প্রাণের দল (বিএনপি) ১৯৯১ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি সাথে রাজনীতি করে আসছি। এবং ২০০৩ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য হয়ে দীর্ঘ ২২ বছর এই ফোরামের পক্ষে প্রতিটি নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি।”
তিনি আরও বলেন, “জেলা আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে, তার প্রতিবাদে এবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ রেজা-গালিব প্যানেলে সহসভাপতি পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি গ্রহণ ও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাই। কিন্তু আমার নির্বাচন যেহেতু জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বাহিরে, যার জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে আমাকে দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হয়।”
আনিসুর রহমান মোল্লা বলেন, “আমি এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার সাথে আলোচনা শেষে আমার প্রাণের দল জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের বৃহৎ স্বার্থে আমি সহসভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম। এবং আমি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেলের পক্ষে সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবো। আমার এ সিদ্ধান্তের কারণে কারো কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম মোর্শেদ গালিব বলেন, “ধারণা করি ভদ্রলোকের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে বলেই সরে দাঁড়িয়েছে। তিনি যদি নিজ ইচ্ছায় বসতো তাহলে তো আরও আগে সময় থাকতেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতো। প্রত্যাহারের সময় মতো যেহেতু করে নাই তার মানে বোঝা যায় জোরপূর্বক তাকে বসানো হয়েছে।”