
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী অহিদ এবং নীরবের মাদক ব্যবসা। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে এই দুই মাদক ব্যবসায়ী। অভিযোগ উঠেছে কথিত সাংবাদিক টোকাই মোতালিবের প্রত্যক্ষ শেল্টারে মাদক ব্যবসায়ী অহিদ এবং নীরব দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনের গতিবিধি মোতালেবের মাধ্যমে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ী অহিদ এবং নীরব তাদের মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলেও অভিযোগে প্রকাশ। এছাড়াও, মাদক ব্যবসায়ী অহিদ এবং নীরবের মাদক ব্যবসা নিয়ে যে কোন গমমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেই সেই সাংবাদিকদের চরিত্র হননের দায়িত্ব থাকে কথিত সাংবাদিক মোতালিবের উপর। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোই হচ্ছে হলুদ সাংবাদিক মোতালেবের কাজ। এমতবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী অহিদ এবং নীরবের পাশাপাশি কথিত সাংবাদিক টোকাই মোতালেবকেও গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
সূত্রমতে, ফতুল্লার কাৃশিপুর এলাকার কথিত সাংবাদিক টোকাই মোতালেবের শেল্টারে ফতুল্লার ভোলাইল এলাকার মাদকের বাজার নিয়ন্ত্রন করছে ওহিদ নামের এক মাদক ব্যবসায়ী আর ফতুল্লার ফাঁজেলপুর, ধর্মগঞ্জ, ঢালীপাড়া, আমতলাসহ আশে পাশের এলাকায় মরনঘ্যাতি ইয়াবার ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে মাদক ডিলার ওহিদের সেকেন্ড ইন কমান্ড নীরব নামের অপর মাদক ব্যবসায়ী। ফতুল্লার ভোলাইল মিষ্টির দোকান সংলগ্ন ব্রীজের পাশেই অবস্থিত মাদক ডিলার ওহিদের বসতবাড়ী। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তারও তার নিয়ন্ত্রনে। এমনকি কথিত সাংবাদিক টোকাই মোতালেব এবং নামধারী বিএনপির কিছু বিপদগ্রস্থ নেতাকর্মীদের আর্শিবাদ রয়েছে তার উপরে। তাছাড়াও ইয়াবার বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খাঁনের নামও। ছাত্রদল নেতা জাকির খাঁনের ভাই জিকু খাঁনের অনুমতি নিয়ে নাকি ভোলাইলসহ আশে পাশের এলাকায় ইয়াবার বাজার নিয়ন্ত্রন করে আসছে ভোলাইল এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ওহিদ৷ এমনটাই সে প্রচার করে আসছে। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, জাকির খান কিংবা জিকু খান ইয়াবা ডিলার ওহিদের মাদক ব্যবসার বিষয়ে অবগত নন তবে ইয়াবা ডিলার প্রভাবশালী বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ইয়াবার বাজার নিয়ন্ত্রন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে, ছাত্রদল নেতা জাকির খান কিংবা জিকু খান বিষয়টি জানুক কিংবা নাই জানুক তবে এতে করে তাদের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই তাদের ভাবমূতি রক্ষার্থে মাদক ডিলার ওহিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তাদের নৈতিক দায়িত্ব। এতে করে তাদের বদনামও গুচাবে অপরদিকে যুব সমাজও ধ্বংসের পথ থেকে ফিরে আসবে। অপরদিকে, মাদক ব্যবসায়ী অহিদ এবং নীরবের শেল্টারদাতা কথিত সাংবাদিক টোকাই মোতালেবকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
তথ্যমতে, ফতুল্লার ভোলাইলসহ আশে পাশের এলাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক ডিলার ওহিদের মাদক ব্যবসা। নিরবিচ্ছিন্নভাবে একাধিক সেলসম্যানের মাধ্যমে শত শত পিছ ইয়াবা পাইকারী ও খুঁচরা বিক্রি করা হয়। আর স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় তরুন যুবকরাই আসক্ত হচ্ছে তার ইয়াবার ছোবলে আর এতে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে তারা। তাই আগামি প্রজন্মকে রক্ষার্থে অনতিবিলম্বে ইয়াবা ডিলার ওহিদকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অপরদিকে, ভোলাইল এলাকার ইয়াবার গডফাদার ওহিদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হচ্ছে ফতুল্লার ফাঁজেলপুর এলাকার নীরব ওরফে আনসার নীরব। ওহিদের ডান হাত হিসেবেই নীরবের পরিচিতি। ফতুল্লার ফাঁজেলপুর, আমতলা, ঢালীপাড়া, প্রেমরোড এবং ধর্মগঞ্জসহ আশে পাশের এলাকায় ইয়াবার পাইকারী ও খুঁচরা ব্যবসা চালিয়ে আসছে এই নীরব। স্থানীয় কিছু টোকাই এবং পুলিশের কিছু সোর্সকে ম্যানেজ করেই চলছে নীরবের ইয়াবা ব্যবসা। স্থানীয় যুব সমাজ মরনঘ্যাতি ইয়াবায় আসক্ত হয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মাদকের টাকা সংগ্রহে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপকর্মে। এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধ প্রবণতা। তাই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনাসহ মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে নীরবের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ইয়াবা ডিলার ওহিদ এবং মাদক ব্যবসায়ী নীরবকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে সাথে এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের যারাই শেল্টার দিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।