যুগের নারায়ণগঞ্জ:
বগুড়া থেকে চুরি হওয়া ট্রাকভর্তি মাছের খাবারের বস্তা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার বিরাবো খালপাড় এলাকার একটি দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। দোকানটি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল নেতা কাউসার মিয়ার মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকের হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হলেও যুবদল নেতা কাউসার মিয়া পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৪৬৬ বস্তা মাছের খাবার উদ্ধার করে। গ্রেফতার হওয়া হেলপার তুষার বগুড়ার ধনুট উপজেলার বাবলু মিয়ার ছেলে।
বগুড়ার শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শাহজাহানপুরের জামুন্না কোয়ালিটি ফিড কারখানা থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের (১৪ টন) ৭১৪ বস্তা মাছের খাবার বোঝাই একটি ট্রাক কুমিল্লার চান্দিনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রাকটি শেরপুর থানার আওতাধীন এলাকায় পৌঁছালে চালক শামীম ও হেলপার তুষার ট্রাক মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
পরে ওই ট্রাকের মালামাল রূপগঞ্জের যুবদল নেতা কাউসার মিয়ার কাছে মাত্র ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় চালক ও হেলপার। মালামাল গন্তব্যে না পৌঁছালে ট্রাক মালিক হাসান ইসলাম শেরপুর থানায় চালক শামীমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার ভিত্তিতে ধনুট থেকে হেলপার তুষারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যমতে রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার বিরাবো খালপাড় এলাকায় কাউসার মিয়ার দোকানে অভিযান চালিয়ে ৪৬৬ বস্তা মাছের খাবার উদ্ধার করা হয়। তবে বাকিগুলোর হদিস পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক আবু কাউসার ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। ঘটনাস্থল থেকে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে ফেরার পথে যুবদল নেতা কাউসারের নেতৃত্বাধীন ৭-৮ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল উঁচিয়ে তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। এসময় তাকে জিম্মি করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মোবাইলের সব ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে নেয়। প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তারা স্থান ত্যাগ করে। এই ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকতার কাজে বাধা দেওয়া মোটেই উচিত হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।