1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হাসিনার সরকার দেশের সম্পদকে লুণ্ঠন করেছে-গিয়াসউদ্দিন চতুর্থ বিয়ে করতে ৩য় স্ত্রীকে মৃত দেখিয়ে সনদ নিলেন স্বামী, অতঃপর… জুলাই আন্দোলনে বিএনপির অনেক ত্যাগ রয়েছে: মামুন মাহমুদ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে – এড.সাখাওয়াত মুকুলের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিশুবাগ বিদ্যালয়ের মানববন্ধন জুলাই শহীদদের স্মরণে সিদ্ধিরগঞ্জে জামায়াতের খাবার বিতরণ কর্মসূচি ইসলামী আন্দোলনের নেতার ওপর হামলায় গণসংহতির নিন্দা আন্দোলনকারীদের উপর গডফাদার শামীম ওসমান বাহিনীর হামলার ছবি ভাইরাল বন্দরে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকে কুপিয়ে জখম অপরাধীরা রাষ্ট্রযন্ত্রের ছত্রছায়ায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে : জাহিদুল হক

বিদেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের আয়েশী জীবন!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতা বর্তমানে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও পরিচয়ের দাপটে তারা বছরের পর বছর ধরে এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কায়েম রেখে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, টেন্ডারবাজি ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করেই তারা দেশ ছাড়েন। কেউ কেউ একরকম গা ঢাকা দিয়েই চলে যান। এখন তাদের অবস্থান মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে সেখানে তারা বিলাসবহুল গাড়ি, ফ্ল্যাট ও নাইটলাইফে মত্ত।
সূত্র জানায়, এই আয়েশী প্রবাসজীবনের তালিকায় রয়েছেন:
হাবিবুর রহমান রিয়াদ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
রফেল প্রধান: জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
মেহেদী হাসান সম্রাট: বর্তমান মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি।
সোহানুর রহমান শুভ্র: জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আহাম্মেদ কাউসার: ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত, রাজপথে তৎপর ছিলেন।
তাদের অনুপস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন দল বা সংগঠনের প্রয়োজনে যারা আগে কথিত ‘সার্বক্ষণিক’ ছিলেন, তারা এখন হঠাৎ করে কেন নিখোঁজ?
প্রশ্ন এখন তাদের এই বিলাসবহুল জীবনের অর্থ কোথা থেকে এলো? তারা কি প্রবাসে ব্যবসা করছেন, নাকি দেশ থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ পাচার করে সেখানে প্রতিষ্ঠাণ নিয়েছেন?
স্থানীয়রা বলছেন, এরা এলাকাতে ভয় দেখিয়ে, ক্ষমতার দাপটে চাঁদা আদায় করতো। সরকারি প্রকল্প, ঠিকাদারি, এমনকি স্কুল-কলেজের কনস্ট্রাকশনের কাজ থেকেও ভাগ নিতো।
একজন সরকারি ঠিকাদার জানান, ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় থাকা একাধিক সিন্ডিকেট ছিল। কাজ পেতে হলে ম্যানেজ করতেই হতো।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের একাধিক ওয়ার্ডে নিয়মিত ভূমি দখলের অভিযোগও ছিল তাদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন, গাড়ির শোরুম ও নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যার পেছনের অর্থ কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়ে তদন্ত নেই।
অনেকের ধারণা, সরকার ও দলের অভ্যন্তরে পরিবর্তনের আভাস পেয়ে এসব নেতারা আগেভাগেই সেফ জোন খুঁজে নিয়েছেন। আবার অনেকে বলছেন,
তারা বিদেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারে, কিংবা পাচার করা অর্থ নিরাপদে খরচ করতে চাইছে।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন তাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত নেই কেন? আয়-ব্যয়ের হিসাব, আয়কর নথি বা ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে না কেন?
বিভিন্ন মহল মনে করছেন, যেহেতু তারা ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে বড় হয়েছে, তাই দায়মুক্তিও পাচ্ছে। ফলে তারা যখন ইচ্ছা দেশ ছাড়তে পারছে।
এই পরিস্থিতি তদন্ত ও জবাবদিহিতা চেয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি একাংশ আওয়ামী লীগের ভেতরেও চাপ তৈরি হচ্ছে। প্রশ্ন এখন একটাই বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই নেতাদের আয় ও সম্পদের উৎস কি সত্যিই বৈধ ছিল?
সূত্র-সোজাসাপটা

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট