যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার পলাতক আসামী আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর সদস্য সানমুন এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার চাঁদাবাজি ও ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলার আসামী সানমুন পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল আইলপাড়া এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে জনসাধারণকে হুমকী ধামকী দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের পুরাতন আইলপাড়া এলাকার লুচ্চা আব্দুর রহমান সেন্টুর কুখ্যাত ছেলে সানমুন আওয়ামী যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং বন্দরের জাতীয় পার্টির নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আফজাল হোসেনের নিকটাত্মীয় সানমুন গোদনাইলে এক আতংকের নাম। এলাকায় চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজিসহ মাদক ব্যবসার সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। ফেন্সিখোর হিসেবেও সানমুনের পরিচিতি রয়েছে। স্বৈরাচার পতনের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অন্যান্য অস্ত্রধারীদের সাথে থেকে সানমুন চাষাড়া গোল চত্বর সংলগ্ন এসবি নীট কম্পোজিট গার্মেন্টস এর সামনে হামলা ও গুলি চালিয়ে একজনকে নিহত করে। যার ফলে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-৩৪। এছাড়াও চাষাড়া বালুরমাঠ কেএফসি বিল্ডিংয়ের সামনে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি ভাবে মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-৭। কিন্তু তারপরও নেই কোনো পুলিশি অভিযান। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের সাথে আতাত করে এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে সানমুন ও তার মাদক সন্ত্রাসী বাহিনী। সানমুন বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে স্বদেশ, রাজু, পলাশ, মাস্তান সহ আরো কয়েকজন এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অতিথিদের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চিপায় চাপায় নিয়ে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করে এলাকায় কিশোর ও তরুন সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই সানমুন বাহিনী। তাছাড়া বিভিন্ন মানুষের জমি দখল করারও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সানমুনের পিতা সেন্টু এলাকায় নারীলিপ্সু হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বাপ-পুত এখন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সানমুনসহ তার বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার কতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।