যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক টের পেয়ে বাউল শিল্পী সুমন খলিফাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভোরে কাশীপুর মধ্য নরসিংহপুর এলাকার একটি ফাঁকা জায়গা থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে সাতজনকে ফতুল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পরকীয়ার জেরে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সুমন খলিফার স্ত্রী সোনিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত এক যুবকই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। ওই যুবক কয়েকজনকে ভাড়া করে সুমনকে হত্যা করায় বলে ধারণা করছে পুলিশ। স্ত্রী সোনিয়ার সম্ভাব্য সম্পৃক্ততাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে ইতোমধ্যে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ঘটনার আগের রাতের বর্ণনা
তদন্তে জানা গেছে, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে সুমন পঞ্চবটির মেথর খোলায় সোহেল সরকারের গানের ক্লাবে যান। সেখানে সোনিয়াসহ বিভিন্ন শিল্পী রাতভর গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যেই কোনো একসময় সুমন ক্লাব থেকে বেরিয়ে যান এবং এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গানের আসর শেষে স্বামীকে না পেয়ে সহশিল্পীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন সোনিয়া। ফেরার পথে মাসদাইর অটো অফিসের সামনে তারা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন বলে সোনিয়ার দাবি। সোনিয়া এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে ফতুল্লা মডেল থানায় গেলে পুলিশ তাকে জানায়—মধ্য নরসিংহপুর এলাকায় একজন যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের পাঠানো ছবিতে তিনি মৃতদেহটি সুমনের বলে শনাক্ত করেন।
পুলিশের বক্তব্য
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, “সুমন খলিফা হত্যার রহস্য আমরা উন্মোচন করেছি। এখন শুধু হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার বাকি। অস্ত্র উদ্ধারের পর বিস্তারিত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।”
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে। হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত