যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮ বছর বয়সী হাফেজ বিভাগের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার আগেই অভিযুক্ত ইয়াকুব মিয়া(৫০) পালিয়ে যায় । এ ঘটনা সোনাগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বৈদ্যোর বাজার ইউনিয়নের বসুনদরদী এলাকার বসুনদরদী খানকায়ে হাবেবিয়া মসজিদ এর মিনার এর ভিতরে এ বলাৎকা এর ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইয়াকুব উপজেলার বৈদ্যোর বাজার ইউনিয়নের খংসারদী এলাকার ইসমাইলের ছেলে ও অত্র মসজিদের ইমাম এবং আল কাসিম মাদ্রাসার পরিচালক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ছাত্ররা জানান,অভিযুক্ত ইয়াকুব এর আগে একই ইউনিয়নের পঞ্চবটি এলাকায় এক ছাত্রকে বলাৎকার করে ধরা পড়ে, পরে এলাকাবাসী বিচার সালিশ করে শাসিয়ে দেন তাকে । ছাত্র জীবনে ইয়াকুব আড়াইহাজার উপজেলা এক কিশোরীকে পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে, এসময় এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে ধরে বিয়ে করিয়ে দেন। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ায় রাতের আধারে গ্যান্জি ও লুঙ্গি পরে আড়াই হাজার থেকে পালিয়ে চলে আসে সোনারগাঁ।
শুধু তাই নয় গত শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিল শোনা শেষে ওই ছাত্র ও ইয়াকুব বাড়ী উদ্দেশ্য রওনা হয়ে মসজিদ এর সামনে আসলে লম্পট হুজুর রাত হয়ে গেছে বলে ছাত্রকে মসজিদের মিনার এর ভিতর নিয়া যায় রাত যাপন করার জন্য। পরে শিশুশিক্ষার্থীকে শিক্ষক ইয়াকুব ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করে। যে সময় শিশু শিক্ষার্থীর রক্তক্ষরণ হয়। ঘটনার পর ওই ছাত্রকে কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান ইয়াকুব মিয়া।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক ইয়াকুবকে ধরতে আসলে সে পালিয়ে যায় ।
খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার (ওসি) তদন্ত রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, বলাৎকারের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা যায়নি। তবে তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত