1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শহরে ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিয়াকে গুলি সর্বত্র সমালোচনা: এবার মাসুদুজ্জামানের পাশে ‘ওসমানীয় ঘনিষ্ঠ’ পলাতক কাউন্সিলর ! মহানগর বিএনপি’র নির্বাচনী প্রচারণা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ না.গঞ্জ জেলা বিএনপি’র নির্বাচনী প্রচারণা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ মান্নানের বিতর্কিত মন্তব্য: প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে মশাল মিছি প্রত্যেক মানুষ, প্রার্থী, দল আমার কাছে সমান-নয়া ডিসি একট্টা মনোনয়ন বঞ্চিতরা: মান্নানের প্রার্থীতা বাতিলে তারেক রহমানের কাছে চিঠি বন্দরে আওয়ামীলীগের দুই ডেভিল গ্রেপ্তার ফতুল্লায় ফের বাসে আগুন! ত্যাগীদের বহিষ্কারদেশ তুলে নিল বিএনপি

শহরে ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিয়াকে গুলি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পিছনের গলিতে ইন্টারনেট ব্যবসা–র বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া। হামলার পর মাটিতে ফেলে জিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি করলেও অল্পের জন্য রক্ষা পায় জিয়া।

গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটলেও এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে কেই সাহস পাননি। এঘটনায় মুহূর্তেই আশেপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তারা দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে চলে যায়। তবে, নাম প্রকাশ না করার স্বত্ত্বে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের ভাই জিকু খানের সাথে বিএনপি নেতা জিয়ার মত বিরোধ চলে আসছিল। এঘটনার জের ধরেই মহানগর বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমানকে গুলি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জিয়ার সঙ্গে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের ভাই জিকু খানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি জিকু খানের লোকজন নাকি জিয়ার বাড়ির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই ঘটনার জের ধরেই গত মঙ্গলবার রাতে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে বলে তারা ধারণা করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাত আটটার দিকে কয়েকজন সন্ত্রাসী হঠাৎ জিয়ার ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তাকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয় এবং পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তাদের হাতে কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে বলেও তারা উল্লেখ করেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে গুলিটি প্রাণঘাতী হয়নি।

গুলির শব্দ শোনা মাত্রই মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে সরে যান। এলাকার বাসিন্দারাও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন, কারণ একই গলির একই স্থানে অতীতে দয়াল মাসুদ নামের আরেকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল বলে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার পর জিয়াউর রহমান জিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি এখন কোথায় চিকিৎসাধীন বা তার অবস্থা কেমন—এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে নগরে গ্রুপিং ও উত্তেজনা বাড়ছে। প্রকাশ্যে মারধর ও গুলির মতো ঘটনা নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলছে।

এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার অসীম মন্ডল জানান, গোলাগুলির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানা পুলিশকে অবহিত করেন নাই বা অভিযোগ দেন নাই। ফলে এই ঘটনায় আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট