যুগের নারায়ণগঞ্জ:
বিকেএমইএ’র সভাপতি ও ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হাতেমকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্ক আরও এক ধাপ বেড়েছে তোলারাম কলেজে ঘটে যাওয়া বিতর্কিত ঘটনার পর। মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর বিকেলে কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে তাঁকে (হাতেম) নিয়ে ছাত্র রাজনীতিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার এক পর্যায়ে কলেজ শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা হাতেমকে অনুষ্ঠানস্থলে চরমভাবে অপদস্ত করে কলেজ থেকে বের করে দেয়। এতে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শিবিরের সাবেক সভাপতি গোলাম সারোয়ার সাঈদ এবং কলেজ শিবিরের বর্তমান সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা হাতেমকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন, যা উপস্থিত ছাত্রদল নেতাদের ক্ষোভের জন্ম দেয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সাধারণ ছাত্রদের মধ্যেও শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একজন ব্যবসায়ী নেতাকে কেন জামায়াত-শিবির ঘরানার নেতারা রক্ষা করতে গেলেন— এর পেছনে কি কোনো গোপন স্বার্থ জড়িত ?
এমন ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পর্যায়ে থেকে বিষয়টি নিয়ে সকল ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছেন নিবিড়ভাবে।
অন্যদিকে, জামায়াত-শিবিরের একাধিক নেতার দাবি, “এটি সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা। কেউই হাতেমকে রক্ষা করতে যাননি, বরং পরিস্থিতি শান্ত রাখতেই তাঁরা এগিয়ে গিয়েছিলেন।”
উল্লেখ্য, এর আগে মোহাম্মদ হাতেমের বিরুদ্ধে ছাত্রদের লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে এবং তাঁকে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। ফলে সাম্প্রতিক এই ঘটনার পর তাঁর নামকে ঘিরে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জুড়ে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, রাজনৈতিক স্বার্থে বহু সময় মতাদর্শ ও অবস্থান গুলিয়ে যায়। এতে সাধারণ ছাত্রসমাজের বিভ্রান্তি বাড়ে, এবং জনআস্থা ক্ষুণ্ণ হয়।”
এদিকে কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষাঙ্গনে এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত