যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাচঁপুর সার্কেলের সহকারি কমিশনার( ভূমি) ফাইরুজ তাসনিম দালালমুক্ত ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, ভূমি সেবা খাতে দীর্ঘদিনের একটি বড় সমস্যা হলো দালালদের দৌড়াত্য ও অবৈধ দখলদারিত্ব। এ সমস্যার বিরুদ্ধে ভুমি মালিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিপূর্বে কাচঁপুর সার্কেল থেকে একটি শক্তিশালী দালাল চক্র সনাক্ত করে সকল ধরনের দালালি বন্ধ করার লক্ষে অফিসের ভিতর ও বাহিরে দাড়িয়ে থাকা দালালদের দূর করা হয়েছে।খারিজ কখনো বন্ধ রাখা হয়নি,দালাল চক্রটি সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য প্রদান করে উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে মিথ্যা প্রভাকান্ড ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সহকারী কমিশনার( ভুমি) ফাইরুজ তাসনিম জানান, ভূমি সেবায় দালালদের উপস্থিতি সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত খরচ, সময় নষ্ট এবং নানা জটিলতায় ফেলছে । এই অবস্থা দূরীকরণে ও ভুমি মালিকদের হয়রানিমুক্ত করার জন্য কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে এবং শুনানির মাধ্যমে খারিজ প্রদানে আমি বদ্ধ পরিকর।। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ভূমি সেবায় পুরোপুরি দালালমুক্ত করা এবং জনগণের কাছে সহজলভ্য করা। সবাই যেন শুধুমাত্র সরকারি ফি (ডিসিআর) দিয়ে যেকোন স্হান থেকে সরাসরি সেবা নিতে পারে। এতে আমার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বল্লেও আমি এ অফিসকে দালাল মুক্ত করে জনগনের ধারপ্রান্তে সেবা পৌঁছে দিবো।
তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “সোনারগাঁয়ে ভূমি অফিসে দেড় মাস ধরে বন্ধ নামজারি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার সাংবাদিক ভাইদের ভুল বুঝিয়ে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন সংবাদ জনগণকে ভুল বার্তা প্রদান করছে একটি চক্র এবং কাঁচপুর ভূমি অফিসের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাস্তব চিত্র হলো কাঁচপুর ভূমি অফিসে নামজারি, খাজনা আদায়, রেকর্ড সংশোধন ও অন্যান্য নাগরিক সেবা স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। উক্ত ভূমি অফিস ইতোমধ্যে দালালমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, এবং জনগণের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নামজারি, অনলাইন আবেদন ও রেকর্ড ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে চালু আছে। প্রতিদিন শত শত নাগরিক এখানে নির্বিঘ্নে ভূমি সেবা গ্রহণ করছেন — যা সরকারি ওয়েবসাইট ও মাঠপর্যায়ের সেবা কার্যক্রম সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই যাচাইযোগ্য।
কাঁচপুর ভূমি অফিসের দালালমুক্ত কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ হয়ে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল।
তিনি বলেন,দালালদের ভালবাসা নয়, আমি নিরীহ কৃষকসহ ভুমি মালিকদের উত্তম সেবা দেয়ার জন্যই সরকার আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন।যতোদিন আল্লাহ এখানে রাখবেন ততদিন জনগনের সেবাই করে যাবো। কোন অন্যয়ের কাছে মাথা নত করবো না।
ফাইরুজ তাসনিমের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে স্হানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা সরাসরি সহকারী কমিশনার ভূমি'র সঙ্গে দেখা করে তাদের সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরতে পারেন। এতে ভূমি সংক্রান্ত নানা সমস্যা দ্রুত সমাধান হচ্ছে এবং জনগণের আস্থা বাড়ছে।মিসকেইসের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। তার ধারণা, এই পদক্ষেপ কাচঁপুর সার্কেলের ভূমি সেবাকে যুগান্তকারী পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে।
সাদীপুর ইউনিয়ন থেকে নামজারী করতে আসা মোতালিব নামের এক কৃষক বলেন, আগে এ অফিসে এসে বাধ্য হয়ে ভিতরে থাকা কিছু দালালদের হাত ধরেই জমি সংক্রান্ত ঝামেলাসহ নামজারী করাতে হতো। এখন অফিসে দালালদের দেখা যায় না। তাই এখন এ অফিস থেকে সরাসরি সেবা পেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে।আমরাও অনেক খুশি।
তারা ভুমি অফিসের এ ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছেন।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত