1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন

গিয়াসউদ্দিনের বক্তব্যের মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানালেন কাশিপুর ইউপি রক্ষা পরিষদ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে
Oplus_0

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কাশিপুর ইউনিয়ন রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

গিয়াস উদ্দিন ২৯ অক্টোবর কাঁশিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দলীয় একটি অনুষ্টানে বক্তব্য প্রদানকালে কাশিপুর ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতায় আনার পক্ষে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজ করার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন।

তিনি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনের বাজেট ব্যবধান এবং উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুততর করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি এ ধরনের প্রস্তাবের বিপক্ষে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রশাসনিক কাগজপত্র দেওয়া থেকে বিরত রাখার সুপারিশও করেন।

এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাশিপুর ইউনিয়ন রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের বিভিন্ন নেতা ও কর্মী ক্ষুব্ধ ও আশঙ্কাজনক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্যগুলোকে সংক্ষিপ্তভাবে নিচে তুলে ধরা হলো :—

আরাফাত আলম জিতু (সদস্য সচিব)
“উনি কি বক্তব্য দিয়েছেন—তার দায়ভার তাঁরই। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ড আছে যেখানে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ বাস করেন এবং সেখানে নাগরিক সেবা প্রদান ব্যর্থ হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহর জলাবদ্ধ হয়, যানজট সীমাহীন। এমন পরিস্থিতিতে কাশিপুরকে সিটি করপোরেশনে নিয়ে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কাশিপুরে অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র শ্রমজীবী; সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হলে ট্যাক্সের বোঝা বাড়বে—এটা আমরা চাই না। আমরা কাশিপুরই থাকতে চাই।”

ফতুল্লা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমেদ
“গিয়াস উদ্দিন সাহেবের এ ধরনের বক্তব্যকে আমি ধিক্কার জানাই। তিনি আমাদের চিহ্নিত করার কথা বলছেন—এ ধরনের হুমকি-ধমকিতে কোনো লাভ নেই। ইতিহাসে গডফাদারের রাজনীতি চিরতরে শেষ হয়েছে; ভবিষ্যতে এটা বন্ধই থাকবে।”

সৈকত হাসান ইকবাল (যুগ্ম আহ্বায়ক)
“আমরা কখনও হুমকি-ধামকিতে ভয় পাব না। কাশিপুরকে রক্ষা করতে শ্রমিক, মজুর, কৃষক, কামার, জেলে ও মেহনতি মানুষকে নিয়ে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে; কাশিপুরের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ চায় না সিটি করপোরেশনে গিয়ে তাদের জীবনযাত্রা ও স্বাচ্ছন্দ্য বিঘ্নিত হোক।”

আরিফুর রহমান টিটু (সদস্য)
“আমরা কোনো হুমকি-ধামকিতে ভয় পাই না। কাশিপুরের জনগণ যা চাইবে তাই হবে—যদি জনগণ চায় ইউনিয়ন পরিষদেই থাকতে, তাহলে সেটাই হবে। কেউ কাশিপুরকে নাসিকের আওতায় নিতে পারবে না; জনগণকে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।”

নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেছেন যে কাশিপুরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, দরিদ্রতা এবং করের বোঝা বাড়ার আশঙ্কা বিবেচনায় না নিয়ে বিহবল সিদ্ধান্ত নিলে গ্রাম্য ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর ক্ষতি হবে। তারা বলেন, উন্নয়নের নাম করে কাশিপুরবাসীর ওপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ আর প্রশাসনিক অসুবিধা তৈরি করা চলবে না।

প্রতিবেদনের চূড়ায়, কাশিপুর ইউনিয়ন রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারা স্পষ্ট করে বলেছেন যে—প্রস্তাবিত কোনো উদ্যোগ যদি এলাকাবাসীর সম্মতি ছাড়া চাপিয়ে দেয়া হয়, তারা সেটার বিরুদ্ধে সকল সাংবিধানিক ও জনসমর্থিত উপায়ে প্রতিরোধ করবেন। তারা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন এবং জনগণের অনুভূতিগুলো প্রতিফলিত করতেই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ বা প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি/প্রকাশ করা হয়নি। (প্রকাশনার পূর্বে যদি তিনি প্রতিক্রিয়া দেন, সেটি সংযুক্ত করা হবে)।

সংক্ষেপে :

গিয়াস উদ্দিনের কাশিপুর – নাসিক সম্পর্কিত বক্তব্যে কাশিপুর ইউনিয়ন রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারা তীব্র আপত্তি, ধিক্কার ও প্রতিরোধের সংকল্প ব্যক্ত করেছেন এবং মান সম্মত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া কাশিপুরকে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা প্রতিরোধ করা হবে—এটাই তাদের বক্তব্য।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট