1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

তেলের ঘাটতি ও দুদক প্রশ্নে যা বললেন ব্রাজিল বাড়ির টুটুল

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
সফলতা মানুষকে এগিয়ে দিলেও অনেকের কাছেই তা হয়ে উঠে বড় বিপত্তির কারণ। এমনটাই যেন উপলব্ধ করছেন আলোচিত ব্রাজিল বাড়ির সেই জয়নাল আবেদীন টুটুল। চাকুরীর পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে প্রবল পরিশ্রম, মেধা ও নিষ্ঠার দরুণ তুলনামূলক স্বল্প বয়সেই আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করেছেন তিনি। এমনকি সিবিএ নেতা হয়েও দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে চলেছেন যমুনা ওয়েল কোম্পানীতে। এর সব কিছুই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে টুটুলের।

ফুটবল ঘিরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দিয়ে পাগলাটে ফ্যানদের নানা কাণ্ড ভাইরাল হয়েছে। সেই উন্মাদনা ও ব্রাজিল ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে নিজের গোটা বাড়িই ব্রাজিলের পতাকার রঙে রঙিন করে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন জয়নাল আবেদীন টুটুল। তার বাড়ীতে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত এসে খেলা উপভোগ করেছিলেন। এতে আরও ব্যাপক ভাবে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপরই একে একে বিপত্তি বাঁধতে শুরু করে। এলাকায় কিংবা কর্মস্থল সহ ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠা একাধিক মহল টুটুলকে টেনে নামানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে শুরু করে বলে অভিযোগ তার স্বজনদের।

সেই ২০১৮ সাল থেকে শুরু; যা চলছে আজ অব্দিও। জ্বালানি খাতে কোনো বিতর্ক দেখা দিলেই সেই বিতর্কে জড়িয়ে দেয়া হয় টুটুলকেও। গণমাধ্যমগুলোতেও প্রশ্ন তোলা হয় টুটুলের সম্পদের উৎস নিয়ে। সেই ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশনও টুটুলের সম্পদ অনুসন্ধানে নামেন। এসব যেন একটা রুটিনে পরিণত হয়েছে। যদিও টুটুল জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে দুদক তদন্ত চালিয়েও তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো তথ্য পাননি। বরং সামাজিক ভাবে হয়রানী হয়েছেন। যা আজও চলমান!

সম্প্রতি দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে জ্বালানী ডিপোর তেল ঘাটতি নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের প্রেক্ষিতে যমুনা ওয়েল কোম্পানী থেকে অন্যান্য জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিবৃতিও দেয়া হয়।

বিবৃতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রেরিত ডিজেল ফতুল্লা ডিপো থেকে চুরি ও গায়েব হয়ে যাওয়ার সংবাদটি ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও অসত্য। বিবৃতিতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে ঘাটতি হওয়ার নানা যৌক্তিক কারণও তুলে ধরা হয়।

তবে, চিরায়িত সেই ধারার অনুকরণে তো টুটুলকে টানতেই হবে! জাতীয় শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমটিও সেই ধারাতেই পথ চলেছেন, টেনে এনেছেন টুটুলকে। টুটুলের আয়েশি জীবন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় দৈনিকটিতে। যেখানে টুটুলের সম্পদের বিষয়ে নানা কথা উল্লেখ করা হলেও স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণের দেখা মিলেনি।

দুদক যেন আরও এক কাঠি সরেস! সংবাদ হয়েছে, তাই তাদের দায় বেড়েছে! সেই দায় মেটাতেই গত ১৯ অক্টোবর টুটুলের বাড়িতে হাজির হয় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের একটি টিম। পূনরায় টুটুলের সম্পদের নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে দুদক কর্মকর্তারা। এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতেও এক তরফা সংবাদ প্রকাশিত হয়।

কারণে-অকারনে সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠা জয়নাল আবেদনী টুটুল বলেন, ‘যমুনা ডিপোতে তেলের ঘাটতি পাওয়ায় আমাকে জড়ানো হলো। অথচ, আমার ডেঙ্গু জ্বর হলে ২০২৪ সালের ১৫ই নভেম্বর থেকে আমি গ্রীজারির কাজে অংশ নিচ্ছি না। তাই তেলের সংকট হলে এখানে আমার সংশ্লিষ্টতার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া কেন সংকট হলো, সেই বিষয়ে আমাদের যমুনা ওয়েল কোম্পানী থেকে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সহ অন্যান্য পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে যৌক্তিক এবং প্রকৃত কারণ তুলে ধরা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে টুটুল বলেন, ‘আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে এই ব্রাজিল বাড়ী করা হয়েছে। ফতুল্লার লালপুরে আমার দুইটি বাড়ির কথা বলা হয়। অথচ, একটি বাড়ি আমার বোনের, তার নামেই সকল ট্যাক্সের ফাইলও করা। আসলে আমাদের যমুনা কোম্পানী থেকে চাকুরীর বেতন বোনাস ও অন্যান্য ভাতার ক্ষেত্রে ব্যাপক সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। তাছাড়া ৫ শতাংশ কমিশন রয়েছে। এই কমিশন বাবদ বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মত আমরা লিগেল ভাবে বাড়তি ইনকাম করতে পারছি। তো এখানে পরিশ্রম করলে ৩য় বা ৪র্থ শ্রেণির একজন কর্মচারীর তো কোটিপতি হতে খুব বেশি সময় লাগে না। আর আমি একজন উদ্যোক্তা। আমার অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে। প্রবল পরিশ্রম, মেধা ও নিষ্ঠার সাথে কোনো কাজ বা ব্যবসা করলে আল্লাহ তায়ালা সফলতা দান করেন। আল্লাহ তায়লা আমাকে সৎ উপায়ে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল করেছেন। সিবিএ নেতা করে সম্মান দিয়েছেন। এই জন্য আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু এটা আমার প্রতিপক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকায় অনেকে ঈর্ষা করতে পারে। তাছাড়া কোম্পানীতে সিবিএ কমিটি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে। তারা শত্রুতা বশতঃ আমাকে হেনস্থা করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে আমি মনে করি।’

টুটুল বলেন, ‘একটি বড় পত্রিকায় সংবাদ হয়েছে। সেখানে আমার আয়েশী জীবন এবং নানা সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে কোনো তথ্য প্রমান দিতে পারেনি। আসলে যখন এমন ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়, তখন দুদকের নজরে আসলে তারা সংবাদের প্রেক্ষিতে তাদের তদন্তের কাজে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা কোনো অভিযান না। এর আগেও দুদক এসেছে। তদন্ত করেছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো প্রমাণ পায়নি। এগুলো নিয়ে আমি বিচলিত নই।’ আর আমিও চাই সত্যতা নারায়ণগঞ্জবাসী জানুক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট