যুগের নারায়ণগঞ্জ
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পরে বেরিয়ে এসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা আজকে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম— আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ ও নিরপেক্ষভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য বলেছি। এই মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখন কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের আদলে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট বলতে আমরা যা বুঝি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ভূমিকা, সেই ভূমিকায় তাদেরকে যেতে হবে। সেজন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে, তা হচ্ছে প্রশাসনকে পুরোপুরি নিরপেক্ষভাবে তৈরি করতে হবে।
নভেম্বরে গণভোট চাওয়ার প্রস্তাব ‘মামাবাড়ির আবদারের মতো’
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই : মির্জা ফখরুল
এদিন সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। অন্য সদস্যরা হলেন- আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ। পরে সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে যমুনা থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সেক্রেটারিয়েটে যারা এখনো আছেন, যাদেরকে ফ্যাসিস্টদের চিহ্নিত দোসর বলা হয়, তাদেরকে সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য বলেছি। আরও বলেছি যে জেলা প্রশাসন বিশেষ করে সেখানেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা মনে করি যে তারা এখনো সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বার্থ পূরণ করছে। সেজন্য তাদেরকে অপসারণের কথা বলেছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যেসব পদে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হবে বা যাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হবে, সেই ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে এসেছি। পাশাপাশি বলে এসেছি যে বিচার বিভাগে বিশেষ করে হায়ার জুডিশিয়ারিতে এখনো যেসব ফ্যাসিস্টদের দোসর আছেন, তাদেরকে সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ বিচারকদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এটা জুডিশিয়ারির ব্যাপার। তারপরও প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু সবকিছুর দায়িত্বে আছেন, তার কাছে আমাদের কনসার্নগুলো জানিয়ে এসেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কথাও আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনও দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাকে অপসারণ করার জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি… এটাই ছিল মূল কথা।
কোনও উপদেষ্টার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন কি না— প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব ‘না’ সূচক জবাব দেন।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত