1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

সোনারগাঁয়ের মান্নানকে পল্টি দিলো বিএনপিন্থী দুই আইনজীবী!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে উত্থান ঘটলেও সেই মান্নানকেই পল্টি দিলো বিএনপিপন্থী দুই আইনজীবী। একই সঙ্গে তাদের দুজনকে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন মান্নান। মান্নান ও তার নেতাকর্মীদের বিগত বছরগুলোতে মামলাগুলো পরিচালনার সুযোগে কোটি কোটি টাকা আয় রোজগার করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বিএনপি পন্থী দুই আইনজীবী। মান্নানের কাছ থেকে মোটা অংকের ফি নিয়ে মামলা পরিচালনা করে ধনকুবের হলেও সেই মান্নানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখালো তারা। এদের একজন মান্নানের বিরুদ্ধেই মামলা করে দিলেন, আরেকজন মান্নানকে মূর্খ আখ্যায়িত করে রীতিমত গালিগালাজ করলেন।

শুধু তাই নয়, আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম ভাঙ্গিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়াও ধাবিয়ে বেরিয়েছেন তারা। দুজনই হয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি, তাও মান্নানের বলয় হিসেবে। তারা হলেন অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম। সাদ্দামকে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুর রহিমকে সহ-সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন মান্নান। এবারের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন মান্নানের কোটায়। নির্বাচনে মান্নানকে তাকে বিজয়ী করতে সব ধরণের সহযোগীতা করলো, কিন্তু বিজয়ী হয়ে সাদ্দাম হোসেন গিয়াসউদ্দীনের হাতে ফুল দিয়ে গিয়াস বলয়ে যোগদান করলো। ২২ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁও পৌর এলাকায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দীনকে প্রধান অতিথি করে নির্বাচনী আলোচনা সভা করেন সাদ্দাম হোসেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাদ্দাম মান্নানকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। রহিমও মান্নানকে পল্টি দিয়ে গিয়াসউদ্দীনের সঙ্গে যোগদান করেছেন।

সূত্রে জানাগেছে, ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন। তাদের দেয়া প্যাডে অসাবধানতাবসত করণিক ভুলের কারনে জিয়াউর রহমানের স্থলে ‘বেগম খালেদা জিয়া অমর হোক’ শব্দটি তুলে দেন কম্পিউটার কম্পোজম্যান।

ওই ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল রানা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোনারগাঁও আমলী আদালতে আজহারুল ইসলাম মান্নান ও মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পেছনে ইন্দনদাতা ছিলেন তৎকালীন জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন।

ওই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক, যিনি ওই সময় সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বাযক হোন। আব্দুর রহিম এই পদ দুটিও পেয়েছেন মান্নানের বৈদৌলতেই।

ওই মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির অধীনে থাকা ১০টি ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। আর এই কমিটির দলীয় প্যাডে বেগম খালেদা জিয়াকে অমর ঘোষণা তথা মৃত করা হয়েছে। এতে খালেদা জিয়ার মানহানি হওয়ায় রাসেল রানা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সোনারগাঁ থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট