
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও বিএনপির মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সংখ্যা বেড়েছে। ঠিক সে সাথে বেড়েছে নোংরা রাজনীতিও! মনোনয়ন প্রত্যাশীরা একে অপরকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন সভা সমাবেশে আকার ইঙ্গিতে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশীকে নিয়ে করছে বিরূপ মন্তব্য। এমনকি, নির্বাচন থেকে দূরে সরাতে প্রতিপক্ষ মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতার বিরুদ্ধে নারী ঘটিত মিথ্যা মামলা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এমতবস্থায়, দলীয় সিনিয়র নেতাদের এমন হিংসাত্বক রাজনীতির প্রভাব দলের মধ্যে পড়ার পাশাপাশি সাধারন নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার।
এদিকে লক্ষ্য করা দেখা যায়, গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই নারায়নগঞ্জে বিএনপির রজনীতিগে কিছু নব্য বিএনপির জন্ম হয়েছে। দলের দুঃসময়ে রাজপথো কিংবা সাধারন নেতাকর্মীদের পাশে না দাড়ালেও দলের সু-সময়ে দলীয় টিকিট ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য টাকার বস্তা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা অর্থের দাপটে বিএনপির গুটি কয়েক নেতাদের বেতনভুক্ত করে চষে বেড়াচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।অথচ’ ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পূর্ব মুর্হুত পর্যন্ত তারা ছিলেন আওয়ামীলীগের দালাল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ চাঁদাবাজ ও নারী কেলেংকারীর নাটক মঞ্চায়ন সস্তা সমর্থন কুড়াতে চাইছে বলেও অভিযোগ দলটির সাধারন নেতাকর্মীদের।
এ বিষয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভোর সাথে বলেন, ৫ আগষ্টের পর বিএনপিতে কিছু আগাছার আর্বিভাব হয়েছে।
এরা দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য সাংগঠনিক নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া নিয়মে চলে তূণমূলকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছে।এতেও যখন কাজ হচ্ছে না তখন নিজেদের মনগড়া কিছু বক্তব্য দিয়ে জনসমর্থন হাসিলের চেষ্টা করছে।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি থেকে সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে আগ্রহী এক ব্যবসায়ী নেতাকে ইঙ্গিত করে সাধারন নেতাকর্মীরা তাদের মন্তব্যে বলেন, স্বেরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জে দলীয় কর্মসূচী পালন করা ছিল প্রতিটি বিএনপির নেতাকর্মীদের জীবন বাজি রাখার মত। জীবন বাজি রেখে যখন দলের সাধারন নেতাকর্মীরা রাজপথে অআস্থান নিয়েছিলেন ঠিক ঐ সময়ে আন্দোলন দমন করার জন্য নারায়ণগঞ্জের রাইফেল ক্লাবে বসে আমাদের আন্দোলন দমানোসহ গডফাদার শামীম ওসমানের সাথে হামলার পরিকল্পনাকাীরও নাকি এবার বিএনপি থেকে সমর্থন নিয়ে এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আবার তার পাশে দেখি উচিষ্টভোগী কিছু বিএনপি নেতাদের নিয়ে গুরে বেড়ান এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন!
বিএনপি নেতা ও কর্মীরা সেই ব্যবসায়ী নেতাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা ব্যবসায়ি আর বিগত দিনে একজন ব্যবসায়িকে নারায়ণগঞ্জের- ৫ আসনের দায়িত্ব দিয়ে জনগন দেখেছে তিনি কতটা উন্নয়ন করেছেন?বর্তমানে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে যেতে হলে বিভিন্ন স্তরের সিকিউরিটি গেইট পার হয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়ে খাতায় নাম লিখে প্রবেশ করেও প্রায় সময়ই আপনাদের দেখা পাওয়া সম্ভব হয় না
। আর আপনারা এমপি হলে সাধারণ ভোটারদের হিসেব তো পরের কথা দলের নেতারাই আপনাদের দেখা পাবে না ঠিক মত?
আমরা গত ১৬ বছর অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তবুও দল ও দেশের প্রয়োজনে রাজপথ ছাড়িনি। আন্দোলন সংগ্রাম করে যতটুকু অর্জন করেছি তা আপনাদের মত হাইব্রিডদের হাতে বির্সজন দিবোনা দেওয়ার ঘোষনা দেন।