গত ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে র্যালী বের করেন রেজাউল করিম। এর আগে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অমর হোক।’ অথচ বেগম খালেদা জিয়া জীবিত আছেন। কিন্তু মান্নানের স্বাক্ষরিত প্যাডে একই বাক্য থাকায় মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন যুবদল নেতা।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন। তাদের দেয়া প্যাডে অসাবধানতাবসত করণিক ভুলের কারনে জিয়াউর রহমানের স্থলে ‘বেগম খালেদা জিয়া অমর হোক’ শব্দটি তুলে দেন কম্পিউটার কম্পোজম্যান।
ওই ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল রানা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোনারগাঁও আমলী আদালতে আজহারুল ইসলাম মান্নান ও মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পেছনে ইন্দনদাতা ছিলেন তৎকালীন জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন।
ওই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক, যিনি ওই সময় সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বাযক হোন। এই পদ দুটিও পেয়েছেন মান্নানের বৈদৌলতেই।
ওই মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির অধীনে থাকা ১০টি ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। আর এই কমিটির দলীয় প্যাডে বেগম খালেদা জিয়াকে অমর ঘোষণা তথা মৃত করা হয়েছে। এতে খালেদা জিয়ার মানহানি হওয়ায় রাসেল রানা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সোনারগাঁ থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে ওই সময় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এটা আমাদের প্রিন্টিং ভুল ছিল। কমিটির চিন্তা করতে গিয়ে আমরা প্যাডের ওপরের দিকে খেয়াল করিনি। এজন্য বিএনপিসহ সকল নেতাকর্মীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এটা আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল। ভুল তো মানুষই করে। তারপরও আমরা এই ভুলের কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকটি কমিটির কাগজ সংশোধন করেছি।’
কিন্তু এদিকে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন ওঠেছে যে, যেহেতু প্যাডে প্রিন্টিং ভুল হওয়ার কারনে রাসেল রানা ও আব্দুর রহিম মান্নান ও মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, তাহলে রেজাউল করিম প্রকাশ্য জনসমাবেশে বেগম খালেদা জিয়াকে অমর বললেও কেন রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করলেন না? তাহলে কি তাদের টার্গেট শুধুই মান্নানকে ঠেকানো? মান্নানের বিরোধীতা করার জন্যই কি তারা বিরোধীতা করে মামলা দায়ের করে মান্নানের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও বর্তমানে তারা মান্নানের বিরোধীতা করে গিয়াসউদ্দীনের বলয়ে রাজনীতি করছেন। তাদের উদ্দেশ্য এই ঘটনার পর পরিষ্কার।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত