প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ১০:২৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ
নগরীর বিভিন্ন সেক্টর থেকে মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজি!
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর চাষাড়া সহ এর আশপাশের এলাকা থেকে প্রতিদিন দুই লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করছে মহানগর বিএনপির একজন শীর্ষ নেতার ভাই। চাঁদা আদায়কারী বিল্লাল হোসেন নিজেকে হকার্স দলের সভাপতি পরিচয়ে এই চাঁদাবাজি করছেন ফুটপাতের দোকানদারদের অভিযোগ। একই সঙ্গে অন্যদিকে নগরীর ডিশ, ইন্টারনেট ও জেনারেটর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণেও রয়েছেন মহানগর বিএনপির ওই নেতা। প্রতি মাসে ৪টি সেক্টর থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে একটি মহল। এ চাঁদাবাজির টাকা চলে যাচ্ছে বর্তমান সময়ের প্রভাবশালী নেতাদের হাতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ-প্রভাবশালী রাজনীতিকদের হস্তক্ষেপে তাদেরই নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করছে ৪টি অবৈধ সেক্টর। এসব ব্যবসা পরিচালনার জন্য তাদের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের নিয়োগ দিয়েছেন একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের মহানগর শাখার শীর্ষ দুই নেতা। তাদের মাধ্যমে মাসিক হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা চাঁদা। সেই টাকার ভাগ যাচ্ছে মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার পকেটে। বাদ যাচ্ছেনা প্রশাসনের বেশকজন কর্তা ব্যক্তিও।
জানাগেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্বে বিগত সাড়ে ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাড়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত প্রতিটি মার্কেটের জেনারেটর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো আওয়ামীলীগের লোকজন। সেই সময়ও আওয়ামীলীগের শীর্ষ বেশকজনের নেতার পকেটে যেতো আয়ের কিছু অংশ। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর জেনারেটর ফেলে পালিয়ে যান আওয়ামীলীগের লোকজন। সেই সুযোগে অপর একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক দখলে নেয়। সেই সুযোগে একটি দলের শীর্ষ দুই নেতা তাদের নেতাকর্মীদের হাতে এসব জেনারেটর পরিচালনার দায়িত্ব দেন। যা থেকে তারা মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছেন বিগত ১৪ মাস ধরে।
একইভাবে নারায়ণগঞ্জ নগরীর ফুটপাত সহ পুরো ডিশ লাইনের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছেন তারা। ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের লোক ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ রেখে পালিয়ে গেলে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। পুরো জেলার ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন আব্দুল করিম বাবু। তার মাধ্যমে জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক এজেন্ট দিয়ে ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হতো। বর্তমানে কোটি কোটি টাকা আয়ের উৎস এই ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণও একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের মহানগর শাখার শীর্ষ দুই নেতা। আওয়ামীলীগের লোকজন পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ডিশ বিলও তারা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। একইভাবে ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রকও তারা। সেই বিলও উত্তোলন করছেন তাদের নেতাকর্মীরা।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত