নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও পৌরসভার ওয়ান ম্যান শো নেতা জিয়াউল ইসলাম চয়ন। গত ২০ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে পল্টি দিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন বলয়ে ঝুঁকেছেন এই জিয়াউল ইসলাম চয়ন। বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামীলীগ সরকার আমলে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে দেখা না গেলেও মান্নানের কৃপায় সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদটি পান। কিন্তু মান্নানকে পল্টি দিয়ে গিয়াস বলয়ে গেলেও উল্টো অবজ্ঞার শিকার হয়েছেন চয়ন। গিয়াসের কর্মীদের পরের চেয়ারে বসতে হয়েছে তাকে।
জানাগেছে, ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে পৌরসভার পানাম নগরী এলাকায় অবস্থিত জিয়াউল ইসলাম চয়নের বানানো নামধারী তথাকথিত সোনারগাঁও উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গিয়াসউদ্দীনকে প্রধান অতিথি করা হলেও এতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাতে গোনা ২০/২৫ জন আনাড়ি ধাচের কর্মী ও স্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত বাকিরা ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের গিয়াস পন্থী নেতাকর্মী। সভায় সভাপতিত্বও করেন জিয়াউল ইসলাম চয়ন।
এতে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ প্রধান, আবু তাহের, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম নয়ন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম শ্যামল, পৌর জাসাসের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল প্রমূখ।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, ওই অনুষ্ঠানে জিয়াউল ইসলাম চয়নের বসার চেয়ারই ছিল না। পরবর্তীতে অতিরিক্ত চেয়ারে এনে স্টেজের কোণে বসতে দেয়া হয় চয়নকে। চয়ন উপজেলা বিএনপির মুল দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও শহিদুর রহমান স্বপনের মত কর্মী বসেছিল চয়নের পূর্বের চেয়ারে। তারও আগে পৌর বিএনপির ওয়ান ম্যান নিষ্ক্রিয় নেতা শফিকুল ইসলাম নয়ন। এই ব্যক্তির পদ পদবী চয়নের চেয়ে অনেক নিচে। কিন্তু তাদেরকে বসতে দেয়া হয়েছে গিয়াসের পাশের চেয়ারে। অথচ চয়নকে বসানো হয়েছে তাদেরও অনেক পরের চেয়ারে। মুলত উঠান বৈঠকে নেতাকর্মী ও মানুষের উপস্থিতির সংখ্যা কম থাকায় গিয়াসউদ্দীনও চয়নের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।