1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ জেলার বাহিরের ব্যক্তিরা কোর্টপাড়ার নিয়ন্ত্রক!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ কোর্টপাড়ার রাজনীতি ও কোর্টপাড়ার সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক এখন নারায়ণগঞ্জ জেলার বাহিরের ব্যক্তিরা। যারা এক সময় নারায়ণগঞ্জের ব্যক্তিদের চাটুকারিতা ও তেলবাজি করে তাদের কাধে ভর করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন সেইসব ব্যক্তিরা এখন নারায়ণগঞ্জ কোর্টপাড়ার সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। এখনো তাদের নিজস্ব হোল্ডিং নম্বর না থাকলেও নারায়ণগঞ্জের কোর্টপাড়ার সকল কিছুর উপর ছড়ি ঘুরাচ্ছেন তারা। স্থানীয়দের নানাভাবে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে তারা নারায়ণগঞ্জের মানুষের বুকে ছড়ি ঘুরানোর চেষ্টা করছেন।

কোর্টপাড়ার একাধিক সূত্রে জানাগেছে, বিএনপির সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তেলবাজি ও চাটুকারিতা খুব বেশি পছন্দ করতেন। তৈমূর আলমের চাটুকারিতা ও তেলবাজি করে তৈমূরের আলমের মন জয় করে নারায়ণগঞ্জে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বিএনপির ৪ জন নেতা। যাদের মধ্যে অন্যতম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া।

এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে বারী ভুঁইয়াকে সভাপতি বানিয়েছিলেন তৈমূর আলম। সাখাওয়াতকে একাধিকবার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বানানোর পর তৈমূর আলমকে পল্টি দিয়ে সমিতির সভাপতি হোন। কারাগারের ভেতরে জেলবন্দি সরকার হুমায়ুন কবিরকে আইন বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন তৈমূর আলম। সাখাওয়াত ও বারী ভুঁইয়া ছিলেন আইন পেশায় তৈমূর আলমের সরাসরি জুনিয়র। টিপুকে বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তৈমূর আলম। সরকার হুমায়ুমন কবির বর্তমানে আইনজীবী সমিতিতে দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার বাসিন্দা সাখাওয়াত, চাঁদপুরের বাসিন্দা আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নরসিংদীর বাসিন্দা সরকার হুমায়ুন কবির ও বারী ভুঁইয়া বৃহত্তর কুমিল্লার বাসিন্দা। আইন পেশার জীবনে তৈমূর আলমের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের বাহিরের জেলা থেকে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এসব ব্যক্তিরা। বর্তমানে এই চারজন ব্যক্তিই তৈমূর আলম খন্দকারকে নিয়ে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে নানা ধরণের অশ্রাভ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ কঠোর সমালোচনা করেন। অথচ এক সময় তৈমূর আলমের চেম্বারে থেকে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা। বিএনপির রাজনীতিতেও প্রতিষ্ঠিত হোন তৈমূর আলমের মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির ও সমিতির নির্বাচন সহ কোর্টপাড়ার নানা প্রশাসনিক বিষয়ে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন এই বহিরাগত ৪ ব্যক্তি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট