যুগের নারায়ণগঞ্জ:
সিদ্ধিরগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে শিশু ধর্ষণ মামলা মিমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউরের বিরুদ্ধে।
মামলার বাদীর অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্তের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মামলা মিমাংসার চেষ্টা করছেন। একাধিকবার টাকা নিয়ে মিমাংসা করার জন্য তাকে চাপ দিয়েছে। এতে অস্বীকার করায় মামলার চার্জশিট জমা দেয়া নিয়ে তালবাহানা করেছে এসআই আতাউর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে পরিবারের অনুপস্থিতির সুযোগে ৬ বছরের সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করে ৪৫ বছর বয়সী সৎ বাবা। বিষয়টি টের পেয়ে ভুক্তভোগী শিশুর খালা গোপনে ঘরে মোবাইল রেখে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও ভুক্তভোগীর মাকে দেখালে পরদিন ১৫ মে সে বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
বাদীর অভিযোগ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতাউর মামলার চার্জশিট না করে আসামি পক্ষের হয়ে আমাদেরকে মিমাংসা করার জন্য বিভিন্ন সময় তার ও তার মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য আসামির কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। একাধিকবার প্রস্তাব দেয়ার পরও রাজি না হওয়ায় একা ডেকে খারাপ আচরণ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আসামি বিভিন্ন রাজনৈতি পরিচয়ে ফোন করে একই প্রস্তাব দিচ্ছে। মিমাংসায় রাজি নাহলে জামিনে বের হয়ে আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরণের ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে এসআই আতাউরকে বললে, আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। বলে, মিমাংসা করে নিলেই সমস্যা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা মিমাংসা চাই না। আমার ছোট্ট বাচ্চাটার সাতে যে এমন জঘন্য কাজ করেছে তার বিচার চাই। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক আতাউর বলেন, ‘অভিযোগ সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। তবে মামলার তদন্ত প্রায় শেষের দিকে, তদন্ত শেষ হলে পর্যায়ক্রমিকভাবে চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হবে।’
তদন্ত কবে শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কবে শেষ হবে তা বলা যায় না।’
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত