যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী খালিদ হাসান ওরফে রবিন দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে থেকে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
ফতুল্লা মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলা থাকলেও রবিনকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুতুব আইল এলাকার মৃত মোবারক মিয়ার ছেলে রবিন কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ফেন্সিডিল ও অস্ত্র আমদানি করে নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ করেন।
এরপর নিজের লোকের মাধ্যমে ফতুল্লা ও তার পাশের থানায় সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইকারি মাদক বিতরণ করে থাকে।
এভাবে মাদকের টাকা দিয়ে সে ফতুল্লার থানাধীন পাশের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি এলাকায় ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেছে এবং কেরানীগঞ্জের কোন্ডা এলাকায় প্লট ও ফ্ল্যাটও কিনেছে।
গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হয়েও আবারও তার পুরনো ব্যবসায় চালিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে দুটি অস্ত্র ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার হয় রবিন।
দীর্ঘদিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও পুরনো ব্যবসায় ফিরে যায়।
রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে মাদক ও অস্ত্রের কারবার চালাচ্ছে সে।
গত বছর সরকারের পতনের পর কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও চলতি বছরের শুরুতে আবার এলাকায় ফিরে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়া
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়েই রবিন তার মাদক সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
এখনো কে বা কারা তাকে শেল্টার দিচ্ছে, তা খুঁজে বের করা জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী রবিনকে গ্রেপ্তারে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী বলছে, রবিনকে শুধু গ্রেপ্তার করলেই হবে না, কে তাকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং মাদক সিন্ডিকেটের পেছনে কারা জড়িত—তা বের করতে হবে।