যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাজী টায়ারস কারখানা যখন পুড়ছিল, সেখানে নিখোঁজ হন ২২ বছর বয়সী তাঁত শ্রমিক আব্দুর রহমান। এক বছর হয়ে গেল, তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার।
ছেলের শোকে চলতি বছরের মার্চে মারা গেছেন অসুস্থ রিকশাচালক বাবা মো. জালাল। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোক সইছেন মা হরমুজা বেগম।
পঞ্চাশোর্ধ্ব হরমুজা বলছিলেন, “বন্ধু-বান্ধবের লগেই সে গেছিল। ডিউটি শেষ করে বাইত আইব মনে করছিলাম, কিন্তু বোঝো না শয়তান টানলো, আর ফেরে নাই। বন্ধু-বান্ধব ১০-১২ জন গেছে, কেউই আর ফেরে নাই।”
২০২৪ সালের ২৫ অগাস্টের ওই ঘটনায় অন্তত ১৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল।
গত এক বছরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কয়েকটি পরিবার থানায় নিখোঁজের ডায়েরিও করেছেন। কিন্তু কেউ তাদের সন্ধান দিতে পারেননি।
জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম অবশ্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে কাজ করার কথা বলেছেন। তার দাবি, প্রশাসনের করা তালিকা ধরে পুলিশ নিখোঁজদের সন্ধান করছে।
গত ১৯ অগাস্ট রূপগঞ্জ থানায় নিজের কার্যালয়ে বসে তিনি বলেন, “নিখোঁজ ব্যক্তিদের ব্যবহৃত মোবাইলের নম্বরের সর্বশেষ লোকেশন এবং ওই নম্বরটি কোথাও সচল আছে কিনা এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং ফিজিক্যালি তদন্ত করছেন।”
কিন্তু নিখোঁজ তালিকায় থাকা কাউকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি বলে এ পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য।
হরমুজা বেগম তার ছেলেকে জীবিত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। তার ধারণা, গাজী টায়ারসের আগুনে পুড়েই মারা গেছেন আব্দুর রহমান।
এ নিয়ে কারও প্রতি কোনো ‘রাগ-ক্ষোভও নেই’ বৃদ্ধা মায়ের। শুধু আক্ষেপ, ছেলের লাশটাও চোখে দেখার ‘নসিব’ হল না।
রূপগঞ্জ উপজেলার কাজীপাড়া এলাকায় টিনের একটি ঘরে একাই ভাড়া থাকেন এ বৃদ্ধা। ছেলের উপার্জনেই তার সংসার চলত। বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অবস্থাও স্বচ্ছল নয়। আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় কোনোমতে দিন পার করছেন এখন।
সেই ঘরে বসেই হরমুজা বলেন, “আমার পুতে তো বিয়া করে নাই। যারা লগে গেছে, তারা দুইডা-তিনডা পোলাপান থুইয়া মারা গেছে। ওর (রহমান) বাপে মারা যাওয়ার আগেও একটাবারের লাইগা দেখতে চাইছিল। কিন্তু কইত্তে আইনা দিমু কও? পোলায় তো মরছে পুইড়া। পোলার শোকে বাপও মইরা গেছে, আমি এখনও মরতাছি।”
কঙ্কাল নিয়ে দাঁড়িয়ে পোড়া ভবন:
গাজী টায়ারস লিমিটেড ছিল দেশে টায়ার প্রস্তুতকারী বড় কোম্পানি। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে রূপসী মোড়ে এ কারখানার মালিক আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই কারখানায় এক দফা লুটপাট চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়।
এরপর ২৫ অগাস্ট ভোরে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন গোলাম দস্তগীর গাজী। ওইদিন রাতে শত শত মানুষ গাজী টায়ারস কারখানায় হামলে পড়ে। ব্যাপক লুটপাটের মধ্যেই কারখানায় ফের আগুন দেওয়া হয়। এবারের অগ্নিকাণ্ড হয় ভয়াবহ। পাঁচ দিন পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেই আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
সেই রাতে যারা ওই কারখানায় গিয়েছিলেন, তাদের অনেকে নিখোঁজ হন। পরদিন সকাল থেকেই আশপাশের এলাকার নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানার ফটকে জড়ো হন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে প্রশাসন স্বজনদের কাছ থেকে নিখোঁজদের ছবি ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রেখে নাম নিবন্ধন শুরু করে।
জেলা প্রশাসনের তালিকায় থাকা নিখোঁজ অন্তত ৪৫ জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে এ প্রতিবেদক।
স্বজনরা নিখোঁজদের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা হলে তারাও বলেছেন, গত এক বছরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তারা এলাকায় দেখেননি।
এ বছর ১৯ অগাস্ট গাজী টায়ারসের বন্ধ কারখানায় গেলে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে বাইরে থেকে পোড়া ছয়তলা ভবনটি আগের মতই বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা যায়।
কারখানার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে বলেন, ভবনটি নিয়ে কাজ করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে ভবনটি আগের অবস্থাতেই পড়ে আছে। উৎপাদন কার্যক্রমও বন্ধ।
গত এক বছরে বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। কিন্তু তারা কেবল আশার বাণী শুনেছেন, নিখোঁজদের সন্ধান পাননি।
২১ অগাস্ট টেলিফোনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আমি বলতে পারব না। কিন্তু মিসিং পারসনদের ফ্যামিলি মেম্বাররা একাধিকবার আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা পুলিশকে তাদের সন্ধান করার জন্য বলেছি।
“নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা একটা আবেদন করেছিলেন, আমি সেটাকে মার্ক করে জেলা পুলিশকে কাজ করতে বলেছি। আশা করি, খুব দ্রুতই কোনো আপডেট দেওয়া যাবে।”
‘মইরা গেলে হাড্ডিটা তো আছে, তাই দিতো’
নিখোঁজ তালিকার মো. আরিফের বয়স ২৭ বছর, স্থানীয় একটি টেক্সটাইল মিলে তিনি চাকরি করতেন। বছর ঘুরলেও আরিফের কোনো খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা তার স্ত্রী ফারজানা। সাত বছরের এক ছেলে আয়ান ও ১৮ মাসের নাঈম হাসানকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তার।
“বাঁইচা আছে এই আশা নিয়াই এক বছরে এসপি-ডিসি-সেনাবাহিনীর সবার কাছে গেছি। কেউ তো এইডাও কয় না যে উনি মইরা গেছে। দিন যাইতাছে সবার ঠিকমতই, কিন্তু আমার জীবনডা তো থাইমা আছে,” হতাশ কণ্ঠে বলছিলেন আরিফের স্ত্রী।
ঘটনার দিন ট্রাক চালিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন নূর হোসেন। প্রতিবেশী আরেক ট্রাক চালক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে নিয়ে রূপসী এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিল পাঁচ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ। রাত ৯টার দিকে ছেলেকে বাসায় দিয়ে বোনের স্বামী মো. রাসেলের (৩৪) সঙ্গে যান গাজী টায়ারস কারখানায়। দুজনের কেউ আর ফেরেননি।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মোতালেব ঢালীর ছেলে নূর হোসেন দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে রূপগঞ্জের কাজীপাড়া এলাকার দুই কক্ষের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গাজী টায়ারস কারখানায় গিয়ে তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর ওই বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন স্ত্রী পারভীন বেগম। বর্তমানে একই এলাকায় এক কক্ষের একটি টিনের ঘরে তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন তিনি।
পারভীন বলছিলেন, “ননদের জামাইর লগে গেছিল গাজীর কারখানায়। রাত ৩টা পর্যন্ত তার ফোন বাজছে। মানুষটা তো আর ফিরল না। কিন্তু উনি মারা গেছেন সেই ঘোষণাও দিতেছে না। উনি কয়েকটা কিস্তি (ঋণ) করে গেছিলেন, সেই কিস্তির টাকাও মাফ হইতেছে না ডেথ সার্টিফিকেট না থাকায়। তিনটা ছেলেমেয়েরে পড়াশোনা করানো তো আমার লাইগা কষ্ট হইয়া যাইতেছে। একটা বিধবা ভাতার কার্ড পাইলেও তো আমার কাজে লাগতো।”
নূর হোসেন ও রাসেলের সন্ধান পেতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালেও খোঁজ করেছেন তাদের স্বজনরা। এমনকি কারাগারেও খোঁজ নিয়েছেন। সন্ধান মেলেনি কোথাও। স্বামী ‘গত হয়েছেন’ ধরে নিয়ে সংসার চালাতে এখন স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি নিয়েছেন পারভীন।
তার সঙ্গে তার বাসায় যখন কথা হচ্ছিল, পাশ থেকে তার মা খাদিজা বেগম বলেন, “মইরা গেলে হাড্ডিটা তো আছে। তাই দিতো আমাগো। কিন্তু একটা বছর হইয়া গেলো, কিছুই তো করলো না সরকার।”
ওই দিন নিখোঁজ হন উপজেলার মৈকূলী এলাকার দুই ভাই- ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সাব্বির শিকদার (২৬), শাহাদাত শিকদার (৩০) এবং তাদের বোনের স্বামী জামির আলী (৩৬)।
সাব্বির ও শাহাদাতের মা নুরুন্নাহার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “যার কাছে যাই, সেই কয় খালি ধৈর্য ধরতে। একটা বছর ধইরা ধৈর্যই তো ধরছি। এখন আমি শ্যাষ। মার কইলজাডা কেমন করে সেইটা তোমরা বুঝবা না।”
টানা পাঁচ দিন ধরে জ্বলা আগুনে ভবনটির ভেতরে থাকা কারো বেঁচে থাকার কথা নয় ধরে নিয়েই স্বজনরা নিখোঁজদের লাশটুকু অন্তত চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটাও তাদের ভাগ্যে জোটেনি। কারণ আগুনে পোড়া ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি তখন।
ব্যাটারি কারখানার শ্রমিক মো. আমান উল্লাহর (২১) মা রাশিদা বেগম বলেন, “আমার স্বামী ১০ বছর ধইরা স্ট্রোক কইরা বাসায় বইসা আছে। একমাত্র ছেলেটাই সংসার চালাইতো। ও নিখোঁজ হওয়ার পর আগের বাসা ছাইড়া দিছি। নতুন যে বাসায় ভাড়া থাকি তারও তিন মাসের ভাড়া জইমা গেছে।”
কথার মাঝখানে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এ নারী প্রশ্ন রাখেন, “আমার পোলাডারে শ্যাষবার দেখার আশাও কি মিটবো না?”
‘হাড়গুলোর বিষয়ে কোনো আপডেট নেই’
সেই ঘটনার পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক আগুনের কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে ২৭ অগাস্ট তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে ৩২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করেন কমিটির প্রধান।
ওই ঘটনাকে প্রতিবেদনে নিছক দুর্ঘটনা নয়, ‘অগ্নিসংযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও কারা ওই কাজ করেছে সুনির্দিষ্টভাবে তাদের চিহ্নিত করা হয়নি।
তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে বলছে, ৫ অগাস্ট প্রথমবার এই কারখানায় লুটপাট চালানো হয়। ওই সময়ও কারখানাটির বেশকিছু স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়। তখন লুটপাট চলে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত। তারপর থেকে কারখানার ওই ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল।
ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের টানা ২২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নেভে পাঁচ দিন পর। দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলতে থাকা আগুনে ভবনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হওয়ায় সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো যায়নি।
প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশের প্রথমটি ছিল- আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবনটি অপসারণের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা যায়। ভবনটি মালিকপক্ষকেই অপসারণ করতে হবে।
আগুন নেভানোর পর ভবনটির বেজমেন্টে প্রাথমিক একটি উদ্ধার অভিযান চালিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু সেখানে হতাহত কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে আর কোনো উদ্ধার অভিযান এ ভবনটিতে চালানো হয়নি।
আগুনের ঘটনার পাঁচ দিন পর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কারখানাটির সামনে গণশুনানির আয়োজন করে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। ওই সময় নিখোঁজ ৮০টি পরিবারের সদস্যরা তাতে অংশ নেন। গণশুনানি শেষে নিখোঁজ স্বজনরা বাধা উপেক্ষা করে ভবনটিতে ঢুকে পড়েন এবং ভবনটি থেকে ১৫ খণ্ড হাড় উদ্ধার করেন। পরে তা পুলিশের কাছে জমা রাখা হয়।
হাড়গুলোর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তখন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
তবে গত বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করা হলে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ থেকে এ হাড়গুলোর বিষয়ে কোনো আপডেট জানানো হয়নি।
সূত্র-বিডি নিউজ
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত