যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, সেলিম ওসমানের প্রেতাত্মারা আইনজীবী সমিতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে এবং ফ্যাসিস্টদের রক্ষা করতে চাইছে। আইনজীবী সমিতিতে ফ্যাসিস্টদের কোনো স্থান নেই। কোনো ফ্যাসিস্টকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে আদালতপাড়ায় সরকার হুমায়ূন কবির ও আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের গণসংযোগে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কাউকে নির্বাচনে দেখতে চাই না, আমরা কোনো ডেভিল হান্ট দেখতে চাই না। অবিলম্বে প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করুক। তাদের কাউকে এই নির্বাচনের কল-কাঠি নাড়তে দেখা যাচ্ছে। সুতরাং তাদের গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নিন। কারণ তারা এই দেশের নিষিদ্ধ দল।

তিনি আরও বলেন, আইনজীবীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দু’টি কোর্ট দুই জায়গায় থাকা। যদি দক্ষ আইনজীবী না থাকে তাহলে এই দুটি কোর্ট ভেঙে যাবে। সুতরাং দুই প্যানেলকে একসঙ্গে রাখতে হলে আমাদের প্যানেলকে ভোট দিতে হবে। আমরা যে প্যানেল দিয়েছি তা সকল দিক বিবেচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অভ্যন্তরীণ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে অংশ নিয়েছেন। সুতরাং আমরা দলের মধ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করছি।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, অনেকেই আমাদের দলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার বিষোদগার করছে। আমরা কারো বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে চাই না। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, নির্বাচিত হলে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।

প্রচারণায় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রার্থী কাজী আব্দুল গাফ্ফার, সহসভাপতি সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক নয়ন, কোষাধ্যক্ষ শাহাজাদা দেওয়ান, আপ্যায়ন সম্পাদক মাইন উদ্দিন রেজা, লাইব্রেরি সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সারোয়ার জাহান, সমাজসেবা সম্পাদক রাজিব মন্ডল, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মামুন মাহমুদ, কার্যকরী সদস্য প্রার্থী আনিসুর রহমান, ফাতেমা আক্তার সুইটি, তেহসিন হাসান দিপু, দেওয়ান আশরাফুল ইসলাম ও আবু রায়হান।