যুগের নারায়ণগঞ্জঃ
নার্গিস আক্তার পায়েল। যার পরিচয় কিনা ভোলাইল গেউদ্দার বাজার ও আশে পাশের এলাকায় চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবেই চিনে থাকেন। গত ২৫-জুলাই চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী নার্গিস আক্তার পায়েলের মাদক ব্যবসাসহ তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনলাইন নিউজ পোর্টাল যুগের নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মাদক সম্রাজ্ঞী নার্গিস আক্তার পায়েল। এমনকি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই অনলাইন নিউজ পোর্টাল যুগের নারায়ণগঞ্জ-এর প্রকাশক আলমগীর কবীরকে মুঠোফোনে বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে মিথ্যা মামলাসহ হত্যা ও গুম করার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫-জুলাই একটি ঘটনা দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল যুগের নারায়ণগঞ্জ-এর প্রকাশক আলমগীর কবীরসহ ভোলাইল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী উল্লেখ্য করেন, মূলত নার্গিস আক্তার পায়েল নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্যই আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। সাংবাদিকরা যাতে করে নার্গিস আক্তার পায়েলের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কোন ধরনের সংবাদ প্রকাশিত না করতে পারে এজন্যই এ মিথ্যা মামলা। মূলত, মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে পায়েল!
মামালার বিষয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল যুগের নারায়ণগঞ্জ-এর প্রকাশক আলমগীর কবীর জানান, দীর্ঘদীন ধরেই সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করে আসছে বিভিন্ন অপরাধীরা। কিন্তু কোন অপশক্তিই সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে পারেনি। সাংবাদিকরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করে আসছে এবং ভবিষত্যেও তা অব্যাহত থাকবে। নার্গিস আক্তার পায়েলের মত এক সম্রাজ্ঞীর মামলাকে ভয় পেয়ে যদি সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব থেকে পিছু হটে তাহলেতো আর এ মহৎ পেশার কোন মূলই থাকল না! শুধু মাদক সম্রাজ্ঞী নার্গিস আক্তার পায়েল কেন?? বরং সমাজের ক্ষতিসাধন করার সাথে যারাই জড়িত থাকবে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিটি অপরাধের বিস্তারিত তুলা ধরা সাংবাদিকদের ঈমানি দায়িত্ব। আর এতে যদি কারা বরনও করা লাগে তবুও এ দায়িত্ব থেকে কখনই যুগের নারায়ণগঞ্জ পরিবার পিছপা হবে না।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম বলেন, সাংবাদিকদের দায়িত্ব হচ্ছে সমাজের অসঙ্গতিগুলো জাতির সামনে তুলে ধরা। আর এতে যদি কেউ মনক্ষুন্ন হন তাতে আমাদের কিছুই করার নেই। ভোলাইল গেউদ্দার বাজার এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী হচ্ছে নার্গিস আক্তার পায়েল। এমনটাই আমরা বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানতে পেরেছি। এখন বিষয়টা হচ্ছে, যদি নার্গিস আক্তার পায়েল নিরপরাধ কিংবা নির্দোষ হয়েই থাকে তাহলে সে ওকিলের মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে পারত। অথচ, সে তা না করে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলো। যদি মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখা যেত তাহলে আর কেউ আর সাংবাদিক পেশায় নিজেকে সমর্পন করতেন না। সাংবাদিক হামলা-মামলার ভয়কে উপেক্ষা করেই এ মহৎ পেশায় নিজেদের নাম লিখান।
পরিশেষে, সাংবাদিক নেতা নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ মাদক সম্রাজ্ঞী নার্গিস আক্তার পায়েলের গ্রেপ্তার দাবি করেন।