1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

সোনারগাঁওয়ে সেতু নির্মাণে ধীরগতি, বিকল্প সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় অর্ধলাখ মানুষের ভোগান্তি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও বটতলা এলাকায় বর্ষার পানিতে অ্যাপ্রোচ সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে দুই ইউনিয়নের ৫০ গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে হোসেনপুর সড়কে পুরাতন সেতু ভেঙে ফেলায় মূল সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প হিসেবে অ্যাপ্রোচ সড়ক বানালেও তা নিচু করে নির্মাণ করায় এই ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনারগাঁ উপজেলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া থেকে হোসেনপুর বাজার সড়কের মঙ্গলেরগাঁও বটতলা এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য ২ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার ৭২২ টাকা ব্যয়ে মেসার্স খাজা চিশতিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং চলতি বছরের ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে প্রায় ৬০ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একটি বিকল্প এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে। এই এপ্রোচ সড়কটি নিচু করে নির্মাণ করায় বর্তমানে বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানিতে তলিয়ে থাকে সড়কটি। ফলে ওই এলাকার মঙ্গলেরগাঁও, দুধঘাটা, পাঁচআনি, চরগোয়ালদী, দুর্গাপ্রসাদ, চৌধুরী গাঁও, কাজিরগাঁও, তাতুয়াকান্দি, এলাহী নগর, নভনিগর, চেলারচর, রামগোবিন্দেরগাঁও, হোসেনপুর, একরামপুর, দড়িগাঁও, মনারকান্দি, ফরদি ও ফতেপুরসহ প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। গত এক মাসে এ সড়কে চলতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা উল্টে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

আসিফ হোসেন নামে একজন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকল্প অ্যাপ্রোচ সড়কটি নিচু করে নির্মাণ করায় বেশিরভাগ সময়েই পানির নিচে তলিয়ে থাকে। পাশাপাশি সড়কে খানাখন্দ হয়ে গাড়ি উল্টে মানুষ আহত হচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো গাড়ি উল্টে মানুষ আহত হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি উঁচু করে নির্মাণের দাবি করেন তিনি।

সোনারগাঁ সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আবিদা আক্তার বলেন, এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে কলেজে যেতে পারি না। সড়কটি দ্রুত নির্মাণ করা হোক।

জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা আছিয়া আক্তার বলেন, সপ্তাহে এক দিন শুক্রবার ছুটিতে বাসায় আসি কিন্তু সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাসায় আসা বন্ধ করে দিয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির জন্য এতগুলো মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাজা চিশতিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তমাল ঘোষ বলেন, অতিবৃষ্টি ও বর্ষার কারণে সড়কটি পানিতে তলিয়ে গেছে। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কটি উঁচু করে দেওয়া হবে এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুজ্জামান বলেন, নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট