1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

রূপগঞ্জে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির সরকারি বই গোপনে কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, একটি নীল রঙের পিকআপ ট্রাক কলেজে প্রবেশ করে। অধ্যক্ষ নিজেই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির নতুন বইগুলো স্টোর রুম থেকে বের করে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। পিকআপ চালক হেদায়েত উল্লাহ ও এক বই ক্রেতার সহায়তায় বইগুলো পিকআপে তোলা হয়। স্থানীয় জনতা বিষয়টি বুঝতে পেরে অধ্যক্ষ, চালক এবং বই ক্রেতাকে হাতেনাতে আটক করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক নূরে আলমকে খবর দেন। তিনি ঘটনাস্থলে এসে বই জব্দ করে স্টোর রুমে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, বই বিক্রির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে এর আগেও প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ, কাজ না করিয়ে বিল উত্তোলন, অর্থ লেনদেনে অনিয়ম, শিক্ষক বরখাস্তসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ২৫ হাজার টাকার ইলেকট্রিক কাজের বিপরীতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিল উত্তোলন করেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।

ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অনেকেই এখনো বই পাইনি, অথচ দেখা যাচ্ছে সেগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এটা চরম অন্যায়। যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করবো।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুরাইয়া পারভিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি পক্ষ সব সময় ষড়যন্ত্র করে থাকে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক নূরে আলম বলেন, ‘নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে প্রায় লাখ টাকার বই বিক্রির চেষ্টা চলছিল। জব্দ করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। টাকা নিয়ে ছাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, ‘ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তদন্তে শিক্ষা অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট