যুগের নারায়ণগঞ্জ:
“বিএনপির প্রার্থী হবে মাঠের কর্মী, মধুখোর শিল্পপতিরা নয়”— মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন, “তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন— যারা মাঠে ছিলেন, মামলা খেয়েছেন, জেল খেটেছেন, শহীদ হয়েছেন— তাঁদেরই মূল্যায়ন হবে। টাকা ছিটিয়ে নমিনেশন নেয়ার দিন শেষ।”
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে বন্দর থানার আওতাধীন ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। লক্ষণখোলা স্ট্যান্ড সংলগ্ন নূর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সাখাওয়াত বলেন, “বিএনপিতে এখন কিছু শিল্পপতি আসতে চাইছেন, যারা ভবিষ্যতে সালমান এফ রহমানের মতো হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করতে চান। হাওয়া এখন বিএনপির পক্ষে— তাই তারা নমিনেশন কিনে এমপি হয়ে বড়লোক হতে চান। আর বদনাম হবে বিএনপির।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নেতা হবে আমাদের মধ্য থেকেই। যার দরজায় গেলে ঠেলা খেতে হবে না। যারা এখনই গেট-গার্ড দিয়ে ঘেরা, তারা যদি এমপি হয়, তখন তো ১০টা গেট পার না হলে দেখা মিলবে না।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সাখাওয়াত বলেন, “তিনি বলেছেন, বিএনপি এককভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে না। জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা হবে। আর বিএনপির সদস্য হতে পারবে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আইনজীবী— কিন্তু কোনো আওয়ামী লীগার, সেলিম ওসমান বা আইভীর প্রেতাত্মা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ কিংবা মাদক ব্যবসায়ীকে সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।”
জুলাই বিপ্লবে বিএনপির অবদানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন শহীদ হয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে ৫৫টি মামলা হয়েছে। অথচ অন্যরা বলে তারাই নাকি বিপ্লব ঘটিয়েছে! এই কৃতিত্ব আমরা একা নিতে চাই না, তবে সত্যিটা মানুষ জানে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা এবং মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহমেদ।