যুগের নারায়ণগঞ্জ:
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গিয়ে মারাত্মক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। শহরের প্রধান সড়ক ও সংযোগ সড়ক তলিয়ে আছে পানিতে।
এছাড়া ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি হাঁটুসমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন বাসাবাড়ি এমনকি মসজিদের ভিতরে পানি ঢুকেছে, যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় মারাত্মক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
মসজিদে পানি ঢোকার কারণে মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারছেন না।
সরেজমিনে মসজিদটি ঘুরে এবং মুসুল্লিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে মসজিদের নিচতলায় পানি উঠে গেছে। ফলে নিচতলায় নামাজ আদায় করতে পারছেন না মুসল্লিরা। শুধু তাই নয়, মসজিদে প্রবেশের রাস্তা কোমর সমান পানি নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ভরে যাওয়া ড্রেন থেকে উঠে আসা নোংরা পানি দিয়ে মসজিদে আসা সম্ভব হয়ে উঠছে না মুসুল্লিদের।
ফতুল্লার লালপুর ও পৌষাপুকুর পাড় এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভ্যানগাড়ি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সামান্য পথ পাড়ি দিতেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আরেকটু পানি বৃদ্ধি পেলে নৌকা ছাড়া চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়ার পাশাপাশি ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে। পায়ে হেঁটে চলা তো দূরের কথা মোটরচালিত রিকশা, মিশুকও চলাচল করতে পারছে না রাস্তা দিয়ে।
স্থানীয়দের অনেকেই ক্ষোভ থেকে বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হয় ঠিকই কিন্তু লালপুর-পৌষাপুকুর এলাকাবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। ১৬ বছর যাবৎ কোনো সংস্কার নেই এ এলাকায়। যত দিন যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ততই বাড়ছে। এই এলাকার সংস্কার যে কবে হবে একমাত্র আল্লাহ জানে। এখন আমরা প্রত্যাশা করি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই লালপুরের ড্রেনগুলো ও রাস্তা দ্রুত সংস্কার করে লালপুরবাসীর ভোগান্তি লাঘব হবে। হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নিজ অর্থায়নে ড্রেন পরিষ্কার ও পাম্পকে সচল করে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করেছে। তাই অন্যান্যবারের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। কিন্তু গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে এলাকার রাস্তা, বাড়িঘরসহ মসজিদেও পানি ঢুকেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী মাঈনুদ্দিন জানান, ‘রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও শাহ আলম সাহেবের অর্থায়নে সচল হওয়া তিনটি পাম্প একযোগে চালু করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। এভাবে আরো কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকারে রূপ নিবে। আল্লাহই এখন আমাদের একমাত্র ভরসা। তিনিই পারেন লালপুর-পৌষাপুকুর পাড় এলাকাবাসীকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করতে।’
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত