যুগের নারায়ণগঞ্জ:
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যা মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে র্যাব।
সোমবার রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে নান্নু কাজী নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তার নান্নু কাজীর বয়স ২৭ এবং তার বাবার নাম আব্দুল কাদের কাজী বলে জানিয়েছে র্যাব।
তার বিস্তারিত নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে গত বুধবার বিকালে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে এমন ভয়ংকরভাবে কাউকে হত্যা করা হতে পারে, তা পরিচিতজনদের ধারণারও বাইরে।
এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মামলা করেন। এরপর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
এরপর শুক্রবার কেরাণীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার গভীররাতে টিটন গাজী (৩২) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ বলেন, গ্রেপ্তার নান্নু কাজী জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার গ্রহণের জন্য তাকে র্যাব-১০ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নান্নুকে ধরার মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত