যুগের নারায়ণগঞ্জ:
দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ছিল সম্পূর্ণই আলাদা। বিশেষ করে, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির রাজনীতি করাটাই ছিল জীবন মৃত্যুর মাঝখানে এক অলিখিত সংগ্রাম! কারন, তৎকালীন সময়ে এ আসনের আওয়ামী সরকারের সাংসদ ছিলেন আলোচিত সমালোচিত আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান।
আওয়ামী শাসনামলে মাঠের প্রধান বিরোধী দল তথা (বিএনপি'র) নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলা-নির্যাতনের মাধ্যমে ফতুল্লার মাটি থেকে বিএনপির অস্তিত্ব বীলিন করার মিশনে নেমেছিলেন প্রভাবশালী সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান। সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানসহ তার বাহিনীর ভয়তে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত অনেক নেতা-কর্মীই দলীয় কর্মসূচী পালনতো দূরের কথা উল্টো হামলা-মামলা ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আতাঁতের রাজনীতি বেছে নিয়েছিল। আর যে সকল নেতা-কর্মীরা দলের আর্দশকে লালন করে বিএনপির রাজনীতি করে গেছেন এদের মধ্যে আবার অনেক নেতৃবৃন্দই আত্মগোপঁনে থেকে স্বেরাচার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। মূলত, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত সাধারন নেতাকর্মীরা সে সময়টাতে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে তাদের জীবন অতিবাহিত করে আসছিলেন। এমনকি,ফতুল্লার মাটিতে বিএনপির রাজনীতি করাটাই ছিল হুমকির সম্মুখিন। তৎকালীন সময়টাতে, সাংসদ শামীম ওসমানের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে ফতুল্লায় হাতেগুনা যে কয়েকজন বিএনপি নেতা জীবন মৃত্যুর সন্দিক্ষনে থেকে বিএনপির ঝান্ডা সম্মুন্নত রাখতে রাজপথে সংগ্রাম করে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। সে সময়টাতে ফতুল্লার মাটিতে বিএনপির ঝাঁন্ডা সম্মুন্মত রাখাটা যে কতট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল একমাত্র নারায়ণগঞ্জবাসীই তা অনুভব করতে পারবেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, দলের ঝাঁন্ডা সম্মুন্নত রাখার ক্ষেত্রে যে নেতা বছরের পর বছর ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে মাঠের কর্মীদের আগলে রাখল এবং স্বেরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাসহ ফতুল্লা বিএনপিকে শক্তিশালী করার পেছনে যে নেতার অবদান সবচেয়ে বেশি সে নেতা নিজ দলের কতিপয় নেতাদের ষড়যন্ত্র এবং হলুদ সাংবাদিকতার রোষানালে পড়ে আজ নিষ্পেষিত! কোন ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়াই দলীয় হাইকমান্ড বিএনপির সাবেক নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীরকে বহিষ্কারের মত এক চেটিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমনকি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি বলেও সাধারন কর্মী সমর্থকরা অভিযোগ করেন। যা কিনা ফতুল্লা বিএনপির সাধারন নেতাকর্মীরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি।
এমনকি, আজকে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর মত ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করার কারনে বর্তমান ফতুল্লা বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা কোন লেভেলে পৌছেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সরজমিনে পরিদর্শন এবং খোঁজ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলটির সাধারন নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে। ফতুল্লা বিএনপির সাধারন নেতাকর্মীরা মনে করেন, ফতুল্লায় বিএনপি মানেই রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। আর রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ফতুল্লা বিএনপিকে কতটা জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছেন তা ফতুল্লার সাধারন নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করলেই অবগত হওয়া যাবে বলেও অভিমত প্রকাশ করেন তারা। তাই দলের দুঃসময়ের কান্ডারী এবং ফতুল্লার রাজনীতিতে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করা এমনকি শামীম ওসমানের মত গডফাদারের এলাকায় বিএনপির ঝান্ডা সম্মুন্নত রাখার ক্ষেত্রে যে নেতা সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন সেই নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী'র বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহারসহ স্বপদে অধিষ্টিত রাখার দাবি জানিয়েছেন ফতুল্লা বিএনপির সাধারন নেতাকর্মীরা। অন্যথায়, ফতুল্লার রাজনীতিতে বিএনপির অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হওয়ার শংকা করছেন তারা। সাধারন নেতা-কর্মীরা মনে করেন, বিএনপি'র সাবেক নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী'র বিকল্প ফতুল্লায় এখনো তৈরী হয়নি। তাই, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী'র বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহারে দেশ নায়ক তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
সূত্রমতে, প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে ছিল মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দীর্ঘ এসময়টাতে দলকে শক্তিশালী করতে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ত্যাগী ও পরীক্ষিত বিএনপির সাবেক নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। বিগত সময়ে দলটির সকল আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান ফতুল্লা বিএনপি শক্তিশালী একটা অবস্থানে দাড়িয়েছেন। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, ফতুল্লায় বিএনপির রাজনীতিতে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী দলের দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রেখে ছিলেন এবং আগলে রেখেছিলেন সাধারন নেতা কর্মীদের। রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী'র মত ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বিএনপিতে বড্ড প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তারা। তাই দলীয় হাই কমান্ড রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারসহ স্বপদে ফিরিয়ে আনবেন এটাই সাধারন নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত