যুগের নারায়ণগঞ্জ:
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শাহজাহান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চতুর্থ বিয়ে করতে তৃতীয় স্ত্রীকে মৃত দেখিয়ে ইউপি সদস্যের কাছ থেকে সনদ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সনদ দিয়ে ভোটার তালিকায় স্ত্রীকে মৃত দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে তৃতীয় স্ত্রী সীমা আক্তার স্বামী ও ইউপি সদস্য এবং সনদের তথ্য সংগ্রহকারীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার শিহাচর এলাকার মৃত ইউনুস ঢালীর ছেলে শাহজাহানের (৫০) সঙ্গে ৯ বছর পূর্বে সীমা আক্তারের (৩৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ৩টি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তাকে বিয়ের আগে শাহজাহান আরও দুটি বিয়ে করেছেন।
পর্যায়ক্রমে নানা কৌশলে ওই দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন শাহজাহান। পরে পূর্বের বিয়ে গোপন রেখে সীমাকে বিয়ে করেন। এখন সীমাকে মৃত দেখিয়ে চতুর্থ বিয়ে করতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন আকতারের মাধ্যমে ৯নং ইউপি সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জুর কাছ থেকে মৃত সনদ গ্রহণ করেন শাহজাহান।
সেই সনদ উপজেলা নির্বাচন অফিসে দাখিল করে ভোটার তালিকায় সীমা আক্তারকে মৃত দেখায়। বিষয়টি সীমা জানতে পেরে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করে থানায় অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউপি সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জু বলেন, ভোটার হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন প্রতিদিনই শত শত লোকের আবেদনে সই-স্বাক্ষর নিতেন। সে প্রতিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে আমার কাছে নিয়ে আসতেন। তাকে বিশ্বাস করে সই-স্বাক্ষর করে দিতাম। আমার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে শাহজাহানের আবেদনে সীমাকে মৃত দেখিয়ে সই-স্বাক্ষর নিয়েছেন। বিষয়টি নির্বাচন অফিসে আলোচনা করে সমাধান করব।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সীমা আক্তারের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য এসআই শুভঙ্করকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর মামলা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : রনি কুমার দাস, প্রকাশক : মোঃ আল আমিন মিয়া রকি কর্তৃক প্রকাশিত
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম ভোলাইল মেলিটিরী বাড়ি কাশীপুর ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ।
যোগাযোগ : ০১৫১১-৭০৫৩৮৪, ০১৯১৬-১৮৭২৫৪.
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত