যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস চুরির অভিযোগে মিজান নামের এক যুবককে গণধোলাইয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার বিকালে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মিজানকে স্থানীয় নারীরা জুতা দিয়ে পেটাচ্ছেন এবং অন্যরা এলোপাতারি মারধর করছেন। ওই সময় মিজান আর কোনো দিন অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিবেন না ও গ্যাস অফিসের কথা বলে বিল আদায় করবেন না বলে ক্ষমা চাইছেন।
এলাকাবাসী জানান, তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে গ্যাস অফিসের নামে বিল আদায় করেন মিজান। যারা বিল দিতে সময়ক্ষেপণ করেন তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাইজার নিয়ে যান।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লার কুতুবপুর নন্দলালপুর খালপাড় এলাকায় লোকজন নিয়ে একাধিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন মিজান। তখন এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এ সময় মিজানের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যান। এরপর মিজান নাকে খত দিয়ে এলাকাবাসীর হাত থেকে মুক্তি পান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মিজানের মতো গ্যাস চুরির সঙ্গে জড়িত গলাচিপা এলাকার কামাল, সোহেল, সুমন, বেসলাইট সোহেল, চাষাঢ়ার রিংকু, ডন চেম্বারের আনোয়ার হোসেন আনু, কায়েমপুর এলাকার সুমন, লামাপাড়া এলাকার রবি, সানাল, পঞ্চবটি এলাকার বেকারী সুমন, বেকারী সাইদ, রাজ, নয়ামাটি এলাকার হানিফ, মিশনপাড়া এলাকার বাগান দুলাল, জামলাতলা এলাকার সামসুল মিয়া, পাইকপাড়া এলাকার শিপলু, দাপা আদর্শ স্কুল এলাকার সেন্টু, কাঠেরপুল এলাকার জুয়েল, লুঙ্গি দুলাল, পাগলা এলাকার সাইফুল, গোদনাইল এলাকার রিংকু আক্তার, রুমা আক্তার, তল্লা এলাকার রনি, কাশিপুর এলাকার মহিউদ্দিন, ইসদাইর এলাকার কাইল্লা সোহেল, সস্তাপুর এলাকার দরবেশ মোজাম্মেল, পূর্ব নয়ামাটি ইসলামনগর এলাকার আশোক আলী, জনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কাছ থেকে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবে।
তিতাস গ্যাস ফতুল্লা আঞ্চলিক অফিসের ম্যানেজার প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, মিজান তিতাস গ্যাস অফিসের কেউ না। তাকে কুতুবপুর এলাকায় যখন এলাকাবাসী আটক করেছে তখন আমাকে অনেকেই ফোন করে জানিয়েছে। তাকে পুলিশে সোর্পদ করতে বলেছি এবং আরও যারা অন্যান্য এলাকায় এ ধরনের গ্যাস চোর আছে তাদেরকেও যেনো আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, মিজান নামে কাউকে এলাকাবাসী পুলিশে সোর্পদ করেনি।