যুগের নারায়ণগঞ্জ:
ফতুল্লা পোষ্ট অফিস থেকে শুরু করে রেলষ্টেশন এলাকাটি মাদকের অভয়রাণ্যে পরিনত হয়েছে। বিগত স্বেরাচারী হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহাম্মেদ লিটনের ভাই ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাসেল আহাম্মেদ মাসুমের নিয়ন্ত্রনে ছিল মাদক ব্যবসার আধিপত্য। গত ৫-ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বেরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই এ এলাকার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রনের হাত বদল ঘটে। স্থানীয় রাজনীতিবীদ এবং বিশেষ পেশার কিছু লোকজনের প্রত্যক্ষ মদদে একক ভাবেই মাদক ব্যসায়ীরা তাদের বয়বসা চালিয়ে আসছে। তবে, অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল এবং বিশেষ পেশায় নিয়োজিত কিছু ব্যাক্তির প্রত্যক্ষ মদদ এবং মোটা অংকের মাসোয়ারা প্রদানের মাধ্যমে ফতুল্লার পোষ্ট অফিস, দাপা ইন্দ্রাকপুর, খোঁজপাড়া, জোড়পুল, চন্দ্রবাড়ী এবং রেলষ্টেশন এলাকায় একাধিক মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের মাদকের পাইকারী ও খুঁচরা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আর মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকের ছোবলে আসক্ত হয়ে অনিশ্চিত ভবিষত্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে স্থানীয় যুব সমাজ। এমনকি, মাদকাসক্তরা তাদের মাদকের অর্থ যোগান দিতে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে। অবশ্য, স্থানীয় রাজনীতিবীদ থেকে শুরু করে সমাজের প্রভাবশালীরা উক্ত এলাকার মাদক রোধে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করলেও তা ছিল মাত্র নাম ওয়াস্তে এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। অভিযোগ উঠেছে, যে সকল রাজনীতিবীদ এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাদক ব্যবসা বন্ধে লোক দেখানো সভা সমাবেশ করে থাকেন তাদের আর্শিবাদপুষ্ট লোকজনদের শেল্টারেই পরিচালিত হয়ে আসছে এ এলাকার মাদক ব্যবসা।
স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফতুল্লা পোষ্ট অফিস থেকে শুরু করে রেলষ্টেশন এলাকায় একাধিক খুঁচরা ও পাইকারী মাদক ব্যবসায়ী গড়ে উঠেছে। এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম ফতুল্লার দাপা ইন্দ্রাকপুর এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র টুটুল এবং একাধিক মাদক মামলার আসামি টিক্কা মরা লিটন। ফতুল্লার পোষ্ট অফিস থেকে শুরু করে দাপা ইন্দ্রাকপুর, খোঁজপাড়া, জোড়াপুল, চন্দ্রবাড়ী এালাকয় বিভিন্ন ধরনের মাদকের মধ্যে ইয়াবা ও ফেনসিডিলের পাইকারী ও খুঁচরা ব্যবসা চালিয়ে আসছে তারা।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উক্ত এলাকাগুলোতে টুটুল এবং টিক্কা মরা লিটনের একাধিক সেলসম্যানের মাধ্যমে মাদক সেবীদের কাছে মাদক সরবরাহ করে থাকেন। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মাদক সেবীরা তাদের চাহিদামত বিভিন্ন ধরনের মাদক এ এলাকা থেকে সরবরাহ করে থাকেন। এমনকি, বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া সাধারন শিক্ষার্থীদেরকেও দেখা যায় উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকো মাদক সরবরাহ করে আসছে। এমতবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের আগামি দিনের ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি ছিনতাই এবং ডাকাতির মত ঘটনা। আগামি প্রজন্মকে রক্ষাসহ মাদকমুক্ত সমাজ উপহার দিতে উক্ত এলাকার মাদক ব্যবসায়ী টুটুল এবং টিক্কা মরা লিটনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার (ওসি) শরীফুল জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ হার্ডলাইনে রয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ফতুল্লার পোষ্ট অফিস থেকে রেলষ্টেশন পর্যন্ত মাদক ব্যববসায়ীদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হবে। অবশ্য, মাদক ব্যবসায়ীদের নিমূল্যে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।