1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ওসমান ঘনিষ্ঠ সানজিদ এখন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পরিচয়ে বেপরোয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতে যানজট নিরসনে যুবদল ডিসির পরিদর্শনের পর খানপুর হাসপাতালের অনেক সমস্যার সমাধান জমি নিয়ে বিরোধে বাবাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন ছেলে-মেয়ে সাত খুনের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে আইনজীবী ও স্বজনদের মানববন্ধন একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: রিয়াদ সাত খুন: বিচার বিলম্বে হতাশ স্বজনরা নাঃ গঞ্জ মহানগর গার্মেন্টস শ্রমিকদলের ১১সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি বন্দরে ক্রাউন সিমেন্টের গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে আহত-১ ঘোড়াঘাটে ১৯২৫হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেঃটন

ওসমান ঘনিষ্ঠ সানজিদ এখন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পরিচয়ে বেপরোয়া

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সানজিদুল আলম ওরফে সোহান। অসংখ্য গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ওসমানশিবিরের লোকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা সানজিদ জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা বনে গেছেন। কয়েকমাসের মাথায় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে পদও বাগিয়ে নেন। ওসমানঘনিষ্ঠ এ নেতা অভ্যুত্থানের আগেও বন্দরে আধিপত্য বিস্তার করতো এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের পদে পেয়ে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সম্প্রতি বন্দরের একটি মসজিদের কমিটি গঠনেও হস্তক্ষেপ করেন সানজিদুল আলম। কমিটি গঠনে বাধা দিয়ে তিনি স্থানীয় এক তরুণকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মো. আলী আসাদ নামে এক ভুক্তভোগী তরুণ ও ওই মসজিদের মোতাওয়াল্লী আবুল কালাম আজাদ বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুইটি অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে, স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সানজিদ আলম মূলত ওসমানশিবিরের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। সেলিম ওসমানের কর্মসূচিতে তার উপস্থিতি ছিল সরব। বিভিন্ন নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তার অথচ গত বছরের আগস্টে অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পল্টি নেন সানজিদ। যোগ দেন বিএনপিতে। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের বন্দর শাখা কমিটিতেও পদ পেয়ে যান তিনি।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের অধীন বন্দর থানা শাখা কমিটি অনুমোদন দেন মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু। ৩১ সদস্যের এই আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পান সানজিদুল আলম।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কয়েকদিন আত্মগোপনেও ছিলেন সানজিদ। স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পাওয়ার পর থেকে তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেন। মসজিদ কমিটি গঠনেও হস্তক্ষেপ করা শুরু করেছেন তিনি।

বন্দর থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্বল্পের চক বাইতুল নুর জামে মসজিদে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাকালে সহিদুল ইসলাম ব্যাপারি (৫৫), সানজিদ আলম (৩২), সিয়াম (২১), নয়ন (৪৫), সোহান (১৯) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জন ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক কমিটি ঘোষণা করার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে মো. আলী আসাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা আলী আসাদকে টেনে-হিঁচড়ে মসজিদ থেকে বের করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সানজিদ আলম পেছন থেকে পিঠে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। হামলার সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং হুমকি দেয়, “বাড়াবাড়ি করলে ক্ষতি করা হবে।”

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট