যুগের নারায়ণগঞ্জ:
শিল্পখাতে ও ক্যাপটিভ গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া (দিপু)। তিনি এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও আত্মঘাতী উল্লেখ করে তা বাতিল বা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, পেট্রোবাংলা ও ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এই প্রস্তাব সম্পূর্ণ অবাস্তব। এটি শিল্পখাতের জন্য বড় ধরণের বিপর্যয় ডেকে আনবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি, গ্যাস আমাদের খনিজ সম্পদ। শিল্প খাতে ব্যবহারের জন্য এলএনজিও আমদানি করতে হয়। আমদানিকৃত ও খনিজ গ্যাসের দাম যৌক্তিকভাবে সমন্বয় করলে সিস্টেম লস বাদ দিয়েও প্রতি ঘনমিটারের দাম সর্বোচ্চ ২২ টাকা হওয়া উচিত। অথচ বর্তমানে ৩০ টাকা হারে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তার ওপর ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হলে এটি শ্রমজীবী মানুষ ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।”
চেম্বার সভাপতি আরও বলেন, “এই দাম বাড়ানো হলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা নতুন করে ঝুঁকিতে পড়বে এবং কেউ নতুন করে শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হবে না। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অন্যান্য কাঁচামালের দামও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে যাবে।”
তিনি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা ৩৩ শতাংশ দাম বাড়িয়েছেন, কিন্তু কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান কি ৩৩ শতাংশ লাভ করে? তাহলে অতিরিক্ত এই বিল তারা কীভাবে দেবে? শিল্প প্রতিষ্ঠান গ্যাসের বিল দিতে না পারলে আপনারা এসে লাইন কেটে দেবেন এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিনীত অনুরোধ জানাই—এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন। আমদানিকৃত গ্যাসের বিবেচনায় কিছুটা মূল্যবৃদ্ধি যৌক্তিক হতে পারে, তবে আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই সেটি নির্ধারণ করতে হবে।”