যুগের নারায়ণগঞ্জ:
বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুনের স্মরণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সুজয় রায় চৌধুরী বিকু।
আলোচনা করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, সংস্কৃতিকর্মী রফিউর রাব্বি, কবি হালিম আজাদ, প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি জাকির হোসেন, সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, খেলাঘরের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি রীনা আহম্মেদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি জাহিদুল হক দীপু এবং নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এডভোকেট জিয়াউল ইসলাম কাজল।
আলোচকরা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সন্জীদা খাতুন ছিলেন সাহসিকতার প্রতীক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন একজন অকুতোভয় সৈনিক। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের রবীন্দ্রবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার এবং ‘ছায়ানট’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
তারা আরও বলেন, ১৯৬৮-৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাংস্কৃতিকভাবে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। পহেলা বৈশাখকে জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক, নির্ভীক এবং আদর্শনিষ্ঠ এক সংস্কৃতি সৈনিক, যিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সন্জীদা খাতুনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।