যুগের নারায়ণগঞ্জঃ সমাবেশে যোগ দিলেই সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলে বন্দরসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হতদরিদ্র সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখানো হয়েছে। স্থানীয় আওমীলীগ ও অঙ্গ দলের কিছু অসাধু নেতাসহ একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র ঋণ সুদমুক্ত টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকার নারী ও কিশোরীদের সঙ্ঘবদ্ধ করে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আর এভাবেই বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বড় বড় বাস যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঢাকা মুখে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করে। আবার অনেক জায়গায় রওনা হওয়ার আগেই স্থানীয় বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পুলিশ বাস জব্দ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
‘অহিংস আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের কথিত এই সমাবেশে নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ৫ শতাধিক নারী ও কিশোরীকে একত্রিত হয় সোমবার সকালে । বন্দর উপজেলার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় আটটি বড় বাস ও মদনগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আরো দশটি বাস সকালে মানুষজন দেখতে পায়। বাস গুলিতে উঠে ঢাকা যাওয়া জন্য অপেক্ষা করছিল। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলীর নেতৃত্বে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সাহাদুল্লাহ মুকুল সহ নেতাকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় বন্দর থানা পুলিশ বিএনপি নেতা কর্মীরা বাস আটক করে সবাইকে নামিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেই সাথে বন্দর থানা পুলিশ কয়েকটি বাসের কাগজ জব্দ করে।
বাসযাত্রী নারীরা জানায়, একটি চক্র সোমবার ঢাকার শাহবাগ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হতে তাদের উদ্বুদ্ধ করে। ঋণের আবেদন ও সম্মেলনে উপস্থিতির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে তারা দুই শ' টাকা করে নিয়েছে। ঋণপ্রত্যাশী ও সম্মেলনে উপস্থিতির জন্য দেওয়া হয়েছে টোকেন। টোকেনধারী সবাইকে দেওয়া হবে এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ। বেশ কিছুদিন যাবৎ চক্রটি বিভিন্ন এলাকার নারীদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সংগঠিত করে আসছিল বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সাজানো নাটকের এই সঙ্ঘবদ্ধ চোখের সাথে উক্ত ওয়ার্ডের স্থানীয় কিছু নব্য বিএনপি'র পদধারী নেতারাও জড়িত বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। প্রশাসন এ ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে।