যুগের নারায়ণগঞ্জ:
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিতাইগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বিমল চন্দ্র দাস ও মানিক সাহা।
তাদের দাবি, তারা দু’জন প্রয়াত কাইয়ুম ভূঁইয়ার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে সাত শতাংশ জমি বায়নাসূত্রে কিনেছিলেন। তবে, এই জমি দখলের চেষ্টা করছেন কাইয়ুমের আত্মীয় প্রবাসী শাহরিয়ার রহমান। শাহরিয়ারের পক্ষে জমিটি দখলের জন্য আব্দুল করিম বাবু তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে বিমল ও মানিক সাহার পরিবারের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কাইয়ুম ভূঁইয়ার দুই ছেলে মোজাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া কাজল ও মোসাব্বির ভূঁইয়াও একই অভিযোগ করেন।
বিমল দাস বলেন, ‘আমি ও আমার পার্টনার মানিক সাহা ২০১৭ সালে মৃত হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে কাইয়ুম ভুইয়ার কাছ থেকে ৭ শতাংশ ৪৩ পয়েন্ট জমি বায়না রেজিস্ট্রি করি। বায়না করার কিছুদিন পরই কাইয়ুম ভূঁইয়া মারা গেলে তার সন্তানদের নিয়ে ওই জমিতে গেলে শাহরিয়ার রহমান বাধা দেন। তার পক্ষে মোখলেছুর রহমান ভুট্টো ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু আমাদের মারধর করে। শাহরিয়ারের কাছ থেকে বাবু মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছে।
এই ব্যাপারে ওই সময় থানা পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো সহযোগিতা পাননি বলে জানান ভুক্তভোগী।
কাইয়ুম ভূঁইয়ার দুই ছেলে বলেন, সমাধান পেতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপুর কাছে যান। জমি বিক্রির কার্যক্রম বিনা বাধায় শেষ করার উদ্দেশ্যে তারা প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দিপু এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন।
বিমল বলেন, ‘গত ২১ সেপ্টেম্বর দিপু ও জীবনকে সাথে নিয়ে জমি পরিমাপ করে সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করি। আমরা সেখান থেকে চলে আসলে শাহরিয়ারের নির্দেশে মোখলেছুর রহমান ভুট্টো ও তার বাহিনী সেই সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে ডিস বাবুর (আব্দুল করিম বাবু) নামে একটি সাইনবোর্ড লাগায়। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ডিস বাবু ও মোখলেছুর রহমান ভুট্টো আত্মত্মগোপনে চলে যায়। ডিস বাবু প্রকাশ্যে না আসলেও কিছুদিন পর মোখলেছুর রহমান ভুট্টো আবার উজির ভূঁইয়ার নামে নতুন সাইনবোর্ড লাগায়। বিষয়টি প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানালে তারা আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যা তদন্তাধীন আছে।
গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বায়না করার পরও ভূমিদস্যু প্রবাসী শাহরিয়ার রহমান, মোখলেছুর রহমান ভুট্টো ও ডিস বাবু বাহিনীর কারণে সেই জমি এখনো আমরা বুঝে পাচ্ছি না। উল্টো প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন। তাদের নামে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।’
এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও দোষীদের বিচার দাবি করেন তারা।